১৯৭১, ১৯৭৫, ২০০৪ এর খুনিরা যেন আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ১৯৭১, ১৯৭৫ ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের খুনিরা একই শ্রেণির। তাদের লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে ধ্বংস করা। সেসব খুনি ও প্রতিক্রিয়াশিলরা যেন বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ শহিদের স্বপ্নকে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে, ২ লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের আর্তনাতকে বিদ্রুপ করতে না পারে, সে জন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
শুক্রবার পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের দোয়া অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন স্বরূপকাঠী উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে হত্যার জন্য, ৩০ লক্ষ শহিদের স্বপ্ন ধ্বংস করার জন্য, ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোকে বিদ্রূপ করার জন্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিলো। দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্র জড়িত ছিলো এতে। এর লক্ষ্য ছিলো মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে সৃষ্টি হওয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান হয়ে গেছে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’, ‘বাংলাদেশ বেতার’ হয়ে গেছে রেডিও পাকিস্তানের আদলে ‘রেডিও বাংলাদেশ’ এবং মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের নির্বিচারে নিযাতন করা হয়েছে, কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে, ক্যান্টনমেন্টে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদেরকে হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আযমকে পাকিস্তানের পাসপোর্টসহ বাংলাদেশে আসতে দেয়া হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতিতে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ১৯৭৯ সালের ৬ এপ্রিল ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। খুনীদের বিচার না করে বিদেশি মিশনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এরশাদ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পার্লামেন্টে নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশের তিনটি অগণতান্ত্রিক সরকারই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অপরদিকে বঙ্গবন্ধুর রক্তের ও আদর্শের উত্তরসূরি শেখ হাসিনা ৩০ লক্ষ শহিদের কথা মাথায় রেখে সকল দেশী-বিদেশী চাপ উপেক্ষা করে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে রায় কার্যকর করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, খুনিরা যেন আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে