বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে নাশকতার মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলায় দেশের কারাগারগুলো ভরে ফেলা হয়েছে। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এত মিথ্যা মামলা দায়ের ও এত গ্রেফতার করেও নিজেদের নিরাপদ মনে করছে না। তাই বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বন্দী করে নিজেদের রক্তাক্ত দু:শাসন প্রলম্বিত করতে চাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিরোধী দলকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অংশ হিসেবেই বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী তাদের দুর্বিনীত অপশাসনের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর নেতৃবৃন্দের মুখ বন্ধ করতেই বানোয়াট মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, সরকারের পায়ের নীচের মাটি সরে গেছে, তাই এখন বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নির্মূল করার অভিযানে সর্বশক্তি দিয়ে নেমে পড়েছে।
খায়রুল কবির খোকন এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
বৃহস্পতিবার পল্টন থানায় দায়ের করা ১০ মামলায় আত্মসমর্পণ করে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়ার মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন খায়রুল কবির খোকন।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী পাঁচ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন এবং অপর পাঁচ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে হরতাল-অবরোধ চলাকালে পল্টন থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়।