সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় জড়িতদের বিচার সৌদি আরবে করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আল-জুবাইর।
এর আগে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন ১৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হস্তান্তরের আহ্বান জানায় তুরস্ক।
এমন আহ্বানের একদিন পরই বাহরাইনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল এ কথা বলেন।
পশ্চিমা গণমাধ্যমে খাশোগি হত্যার খবর প্রচারকে তিনি ‘‘মৃগীরোগ” বলে অভিযুক্ত করেন বলে বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
তিন সপ্তাহ আগে তুরস্কে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে খুন করা হয় জামাল খাশোগিকে। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে সৌদি রাজপরিবার জড়িত বলে বিভিন্ন পক্ষ থেকে বরা হচ্ছে।
তবে সৌদি রাজপরিবার এই অভিযোগ অস্বীকার করে একে দুর্বত্তদের কাজ বলে আসছে।
সৌদি আর ব প্রথমদিকে খাশোগির পরিণতির বিষয়ে অস্বীকার করে আসলেও তাদের সরকারি কৌশুলী এখন একে পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে স্বীকার করেছেন।
সন্দেহভাজন ১৮ জনকে হস্তান্তরের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল বলেন, তারা প্রত্যেকেই সৌদির নাগরিক। তাদেরকে সৌদিতে আটক করা হয়েছে, তদন্ত চলছে সৌদিতে এবং তাদের বিচারও হবে সৌদিতে।
ইতোমধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি সরকারের দেয়া বিবৃতিতে তিনি ‘সন্তুষ্ট নন’।
একদিকে তিনি দেশটির ওপর নানারকম অবরোধ আরোপের সম্ভাবনার কথা বলছেন, অন্যদিকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোরও দিচ্ছেন।
তিনি খাশোগির বাগদত্তা হাতিস চেনগিজকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানান। তবে হোয়াইট হাউজে যাওয়ার নিমন্ত্রণ ফিরিয়ে দেন হাতিস চেনগিজ।
কারণ হিসেবে তিনি অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে যথেষ্ট আন্তরিক নন।
তুর্কি গণমাধ্যম হাবেরতুর্ক টিভি’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে হাতিস বলেন, তার মতে যুক্তরাষ্ট্র সফরের এই আমন্ত্রণ আমেরিকান জনমতকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হত্যার বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট কোনো অবস্থান এখনো দেখাননি। বরং তার আচরণে মনে হচ্ছে, দু’কূল রক্ষার চেষ্টা করছেন তিনি।