‘খাশোগি হত্যার নির্দেশ আসে সৌদির সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে’
প্রথমবারের মতো সরাসরি সৌদিকে দায়ী করলেন এরদোগান
সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার জন্য প্রথমবারের মতো সৌদি সরকারকে সরাসরি দায়ী করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
ওয়াশিংটন পোস্টে নিজের লেখা কলামে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে খাশোগি হত্যার নির্দেশ সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই এসেছিল।’
তবে সৌদি আরবের সঙ্গে তুরস্কের ‘বন্ধুত্বের বন্ধনের’ ওপর জোর দিয়ে এরদোগান বলেছেন, তার বিশ্বাস হয় না বাদশাহ সালমান এ ঘটনায় জড়িত।
এরদোগান বলেন, ‘আমরা জানি দোষী ব্যক্তিরা সৌদি আরবে আটক ১৮ সন্দেহভাজনের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত। আমরা এটাও জানি, এরা তুরস্কে এসেছিল শুধু তাদেরকে দেয়া নির্দেশ অনুসরণ করতে: খাশোগিকে খুন করে দেশে ফেরত যাওয়া। সর্বশেষ আমরা জানতে পেরেছি, সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ এসেছিল।’
একদল নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা ছাড়াও আরও অনেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল দাবি করে খাশোগি হত্যার ঘটনায় পর্দার আড়ালে থাকা মূল পরিকল্পনাকারীদের পরিচয় দিনের আলোয় আনার দাবি জানান তিনি।
‘আর কারও সাহস যেন না হয় কোনো ন্যাটো মিত্রদেশের মাটিতে এমন কোনো কাণ্ড ঘটানোর। যে এই সতর্কবার্তা অগ্রাহ্য করবে, তাকেই কঠিন পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে,’ বলেন এরদোগান।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাজে গেলে সেখানেই নিহত হন আন্তর্জাতিক পরিচিতি সম্পন্ন জামাল খাশোগি। সর্বশেষ তিনি ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ছিলেন।
খাশোগি যেখানে লিখতেন, সেই কলামের জায়গায়ই শুক্রবার কলামটি লিখেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
তুর্কি তদন্তকারীদের বিশ্বাস, স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা এই সাংবাদিক তুরস্কের নাগরিক হাতিস চেনগিজকে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে কনস্যুলেটের ভেতর ঢোকার সাথে সাথেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল।
খাশোগির মরদেহ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে তার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়েছে বলে আগে থেকেই দাবি করে আসছে তুরস্ক।
এমনকি সম্প্রতি তুরস্কের দৈনিক পত্রিকা ‘হারিয়েত’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এরদোগানের উপদেষ্টা ইয়াসিন আকতে দাবি করেন, তার বিশ্বাস মৃতদেহটি টুকরো টুকরো করে এসিডে গলিয়ে ফেলা হয়েছে।