বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ২৪ গুণীজনকে এ বছর একুশে পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এরমধ্যে অভিনয়ে (শিল্পকলা) এ বছর তিনজন পাচ্ছেন একুশে পদক। আফজাল হোসেন ও মাসুম আজিজ ছাড়াও বাংলা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যুবরাজ হিসেবে খ্যাত খালেদ খানকে দেয়া হয়েছে মরণোত্তর পদক।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বাবুল মিয়া স্বাক্ষরিত এক তালিকায় একুশে পদকে ভূষিত ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়। মৃত্যুর ৮ বছর পরে খালেদ খানকে একুশে পদকে ভূষিত করায় গর্বিত তার পরিবার।
খালেদ খানের ছোট ভাই শাহীন খান এক ফেসবুক পোস্টে কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি লিখেন, ‘অভিনয়ে অবদানের জন্যে ২০২২ সালের একুশে পদকে ভূষিত খালেদ খান! চলে যাবার আট বছর পরে হলেও তাঁর এই প্রাপ্তিতে আমরা আনন্দিত, গর্বিত! এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত সকলের প্রতি আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’
এ বছর একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন:
ভাষা আন্দোলনে মোস্তফা এম. এ. মতিন (মরণোত্তর) ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল (মরণোত্তর)। শিল্পকলায় জিনাত বরকতউল্লাহ, নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর), ইকবাল আহমেদ, মাহমুদুর রহমান রেণু, খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর), আফজাল হোসেন, মাসুম আজিজ। মুক্তিযুদ্ধে আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ .এ.বি এম রহমান, আমজাদ আলী খন্দকার। সাংবাদিকতায় এম এ মালেক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মো. আনোয়ার হোসেন, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, সমাজসেবায় এস. এম. আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের। ভাষা ও সাহিত্যে কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ। গবেষণায় ড. মো. আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, ড. মো. এনামুল হক (দলগত, দলনেতা), ড. সাহানাজ সুলতানা (দলগত), ড.জান্নাতুল ফেরদৌস (দলগত)।