বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেলহত্যা মামলা, পিলখানা হত্যা মামলা, ২১ অাগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টসহ অসংখ্য মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এবার ভোটযুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এরই মধ্যে ঢাকা-১৬ (পল্লবী-রূপনগর) আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তিনি।
ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন।
আদালত চত্বর থেকে ভোটের মাঠে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন কাজল চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই আমি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ছিলাম। জাতির পিতার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত মিরপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম।
‘‘মিরপুর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি দীর্ঘদিন। এরপর পেশাগত জীবনে এসে দীর্ঘ বছর আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এবং অাওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম।’’ বলেন তিনি।
মূলত জনগণের জন্যই ভোটের রাজনীতিতে আসতে চান জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের স্পোশাল সব মামলার আইনজীবী বলেন, ‘জনগণের সেবা করবো বলেই আজীবন আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছি। আদালত চত্বর থেকে সাধারণ জনগণের সেবা করার সুযোগ কম। তাই ভোটের রাজনীতিতে এসেছি।’
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে কতটা অাশাবাদী – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি শতভাগ আশাবাদী, সবদিক বিবেচনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান আমাকে মনোনয়ন দেবেন।
নির্বাচনের জন্য মিরপুর-১৬ এলাকাকে বেছে নিলেন কেন? জবাবে কাজল বলেন, এটা আমাদের আদি নিবাস। আমাদের পূ্র্বপুরুষের ভিটা। এখানে আমার বেড়ে উঠা। এলাকাবাসীর কাছেও আমি বিশেষভাবে পরিচিত। আমার আলাদা একটা গ্রহণযোগ্যতা আছে তাদের কাছে। তাই তাদেরকে নিয়েই ভোটযুদ্ধে নামতে চাই।
‘‘আমি নিশ্চিত দলীয় মনোনয়ন পেলে এই আসন থেকে নৌকা মার্কার হয়ে জয়ী হয়ে আসবো।’’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া যে দুই মামলায় সাজাভোগ করছেন, তাতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
শুধু খালেদা জিয়াই নয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা এবং অন্য দুটি দুর্নীতি মামলায় লড়েছেন তিনি।