বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বিদেশে পাঠানোর মত গুরুতর অসুস্থ হননি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। খালেদা জিয়াকে জেল কোড মেনে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার নতুন ভবন উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় সাংবাদিকদের একথা জানান আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাতক্ষীরার নলতায় স্বর্ণ কিশোরী নেটওয়ার্কের বিভাগীয় সম্মেলনে অংশ নেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: আদালতের রায়ে দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া কারান্তরীণ। সেখানে জেল কোড মেনে তাকে সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি নিজেই অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন। পরে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন।
‘‘পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বিএনপি নেত্রীর নতুন করে কোনো রোগ হয়নি। আগের রোগগুলোতেই ভুগছেন। গুরুতর কোনো সমস্যার কথা আমরা শুনিনি, যার জন্য তাকে বিদেশে পাঠাতে হবে। খালেদা জিয়া বিদেশে পাঠানোর মতো অসুস্থ হননি’’, বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন: বাংলাদেশে যড়যন্ত্রের অভাব নেই। আমরা কখনো বলিনি জঙ্গিবাদ একেবারে নির্মূল হয়ে গেছে। যড়যন্ত্র এখনো চলছে। অনেকে জঙ্গিবাদ উত্থানে চেষ্টা করছেন। কিন্তু এদেশের মানুষ জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ পছন্দ করে না। তাদের কখনো আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়নি, দেবেও না। সেজন্য আর কখনো জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।
তিনি বলেন: মাদকের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছে। খুব দ্রুত মাদক আইন সংশোধন করা হবে। সংবাদমাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ী এবং গডফাদারদের ছবি প্রকাশ করে তাদের সামাজিকভাবে বয়কটের ব্যবস্থা করা হবে।
মন্ত্রী বলেন: ১৯৭৮ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কফি আনান কমিশন প্রস্তাব দিয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও জাতিসংঘে ৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই মোতাবেক পদক্ষেপ না হলে স্থায়ী সমাধান হবে না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। খুব দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন: সুন্দরবনের জলদস্যু দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে একাধিক বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। পর্যায়ক্রমে সব বাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে সুন্দরবনে শান্তি ফিরিয়ে আনা হবে।
৬ কোটি ৩৮ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে দেবহাটা থানার নতুন ভবন ও প্রাচীর নির্মাণের পর উদ্বোধনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার, খুলনা বিভাগীয় রেঞ্জের ডিআইজি মো. দিদার আহমেদ, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান প্রমুখ।