জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শেষ করেছেন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। সাক্ষ্যে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে আসামীপক্ষ দাবি করলেও রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, আদালতে দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পেরেছেন তারা।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে মামলা করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। সেই থেকে মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন।
সর্বশেষ সাক্ষী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশীদ সাক্ষ্য দেয়ার পর তাকে কয়েকটি কার্যদিবসে জেরা করে আসামীপক্ষ। বৃহস্পতিবার বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে জেরা শেষ করেন সিনিয়র আইনজীবীরা।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান বলনে, খালেদা জিয়া অসুস্থতার জন্য আদালতে হাজির হতে পারেননি। সেজন্য আমরা সময়ের আবেদন করেছি। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতির বিষয়টি প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শেষ করা হয়েছে। পরবর্তী তারিখে বাকি দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম ও মনিরুল ইসলামের পক্ষে তাঁদের আইনজীবীরা তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করবেন।
বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন থাকলেও স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি হাজির হতে পারেননি বলে আইনজীবীরা আদালতকে জানিয়েছেন।