কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির আগে আর কিছু ভাবছেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি নেতা-কর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে সবাই রাস্তায় নামুন, ওঠে দাঁড়ান, জাগ্রত হন। তাকে মুক্ত করতে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। শান্তিপূর্ণ এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমেই তাকে কারামুক্ত করবো এবং আওয়ামী লীগের পতন ঘটাবো।
শনিবার বিকালে রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ এর আইইবি মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।
সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের মাতা, আমাদের মা তিনি আজকে কারাগারে বন্দি। দেশে গণতন্ত্র যতটুকু অর্জন হয়েছিল, যিনি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নয় বছর সংগ্রাম করেছিলেন, গৃহবধু হয়ে দেশের পথে প্রান্তরে গণতন্ত্রের জন্য বেড়িয়েছেন সেই সেই মাকে আজকে বন্দি করেছে। ফেটে পড়ুন সবাই, উঠে দাঁড়ান, সবাই জাগ্রত হন। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সবাইকে রাজপথে নেমে আসতে হবে। কোনো বিকল্প নেই, আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলন। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা দেশনেত্রীকে কারামুক্ত করবো, তার আগে অন্য কোনো কিছু চিন্তা করবো না।
তিনি বলেন, আমরা এখন একেবারেই শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করছি। এবং এই শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা এদের পতন ঘটাবো। বাধ্য করবো দেশনেত্রীকেসহ আমাদের সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য।’
‘মির্জা ফখরুল সারাদিন মিথ্যা কথা বলেন’ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবৈধ সরকারের, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী তিনি নিজে যেটা করেন, সেটা যেনো অন্যও করছে। আমাকে অনেকে বলেন, এ কথার উত্তর দেন না কেনো? আমি বলেছি এগুলোর উত্তর দেওয়া আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বাধে, আমাদের রুচিতে বাধে। রাজনৈতিক শিষ্টাচারে বাধে। আপনি বলুন যে দেশের মানুষের জন্য কি করেছেন? সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের চেতনাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরে গায়ের জোরে, পিস্তল দিয়ে গোটা দেশকে বন্দি করে রেখেছে সরকার। এদের চরিত্রটাই এমন। ৭৫ সালে তারা বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল তারা। সেখান থেকে দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরে নিয়ে এসেছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, এ জেড এম জাহিদ, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, হাবিবুর রহমান হাবিব সহ দলের নেতা-কর্মীরা।