ভারতে সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে নিচু বর্ণের দলিত সম্প্রদায়ের যুবক প্রদীপ রাথডের (২১) ঘোড়া থাকা এবং ঘোড়ায় চড়ার অপরাধে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের কয়েকজন গ্রামবাসী। ওই ঘটনার পর তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভারতের গুজরাটে বৃহস্পতিবার ওই যুবক ও যুবকের পছন্দের ঘোড়ার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ক্ষত্রিয়রা বিশ্বাস করে ঘোড়া সম্পদ এবং শক্তির প্রতীক। সুতরাং ঘোড়া শুধু যোদ্ধা সম্প্রদায় হিসেবে ক্ষত্রিয়দের থাকতে পারে কিন্তু নিচু সম্প্রদায়ের নয়।
ভারতের হিন্দু সমাজের শ্রেণী বিভাজনের নিচু গোত্রের দলিত সম্প্রদায়ের যুবক প্রদীপের খুব শখ ছিলো ঘোড়ার। ঘোড়ায় চড়ায় ইচ্ছে থেকেই ঘোড়া কিনে প্রদীপ।
নিহত প্রদীপের বাবা বলেন, গত সপ্তাহ আগে আমি সন্তানের সঙ্গে ঘোড়ায় চড়ার সময় উঁচু শ্রেণীর ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের একজন আমাদের হুমকি দিয়ে গ্রামে ঘোড়ায় চড়তে নিষেধ করে। যদি ঘোড়া বিক্রি করে না দেই তাহলে আমাদের হত্যা করার হুমকি দেয় ওই ব্যক্তি।
হুমকি দেয়া ব্যক্তি বলেন, দলিতরা কখনো ঘোড়ায় চড়তে পারে না। শুধুমাত্র ঘোড়ায় চড়ার অধিকার আছে ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের।
এই হত্যার প্রতিবাদে থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের সিনিয়র পুলিশ অফিসার। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে হত্যার অন্য কোন সম্ভাব্য কারণ এখনো জানা যায়নি।
ভারতের এই শ্রেণী বৈষম্যর বলি হতে হয়েছে অনেক তরুনকেই। বিশেষ করে ঐতিহাসিকভাবে এই দলিত সমাজের জনগণকেই আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। গত অক্টোবরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নাচে যোগদানের অপরাধে গুজরাটে একজন দলিতকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।