চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ফাইল পড়ে আছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে’

দুনীতির দায়ে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দেয়া পরামর্শের ফাইলটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পড়ে আছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছি খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসার সেই ফাইলটা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আছে।

তিনি বলেন, কারাবন্দী একজন সাধারণ নাগরিকেরও উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। চিকিৎসা নিয়ে এদিক-সেদিক করার কোনো সুযোগ নেই। অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যার অবদান সবচেয়ে বেশি সেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা-ভিত্তিহীন মামলায় কারাগারে বন্দী করে রেখেছে।

‘তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সরকার সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে তাকে আরও সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’

ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে, কিন্তু সরকারের এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করাতে বিদেশ যাওয়ার দরকার নেই বলে মতামত দিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। 

গত ৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

পরের দিন বোর্ড প্রধান ডা. শামসুজ্জামান খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, তার ঘাড় ও কোমরের হাড়ে সমস্যা আছে। তবে রক্তের পরীক্ষাগুলো সবকিছু স্বাভাবিক পাওয়া গেছে।

বন্দী হওয়ার পর থেকেই বিএনপি নেতারা বলছেন, কারাগারে সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া। এই জন্য তাকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দী রয়েছেন খালেদা জিয়া। ওইদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান তাকে একটি দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

একই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকেও ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল ও জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আদালত তাকে চার মাসের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন দিলেও অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোয় তিনি মুক্তি পাননি।