রেজাউল করিম: শেষ পর্যন্ত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেজা জিয়া আদালতে হাজির হয়েছেন। এরপর আদালত এ দুই মামলায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
বিএনপির পক্ষে থেকে আগেই জানানো হয়েছিল পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পেলে আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন খালেদা জিয়া। তাদের চাওয়া মতো সরকারও নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনো কমতি রাখেনি।
খালেদা জিয়া আদালতে পৌঁছানোর আগে সকাল থেকেই নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় বকসি বাজার আলিয়া মাদ্রাসা এলাকা। বিপুল পরিমাণে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয় সেখানে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয় গুলশানে অবস্থিত বিএনপির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকেই। গুলশান থেকে বকশি বাজার পর্যন্ত রাস্তার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপর দেখা যায়। এসময় অনেক রাস্তায় গাড়ি চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়।
বিশেষ আদালতের আশে-পাশে নিরপত্তাবাহিনী সদস্যরা ছিলেন সতর্ক অবস্থায়। আদালতের পাশ্ববর্তী প্রত্যেকটা উঁচু ভবনের ছাদেও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন ছিলেন। আইনজীবী ও সাংবাদিক ছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। আদালতের কার্যক্রম শেষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের আইনজীবীরা।
সর্বশেষ হাজিরার ৩ মাস ১২ দিন পর আবারো আদালতে বিএনপি চেয়ারপার্সন। তিনি সর্বশেষ হাজিরা দিয়েছিলেন গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর। এরপর কয়েকটি তারিখে আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি জারি করেন ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত।