চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

খালেদার মুক্তির আবেদন: কী মত দিলেন আইনমন্ত্রী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে পরিবারের করা আবেদনে মতামত দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ৭ সেপ্টেম্বর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কিন্তু কী আছে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতে? এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন: যেহেতু ৬ মাসের মেয়াদের (দণ্ড স্থগিতের) শেষ হয়ে যাচ্ছে, তিনি একই আদলে মেয়াদ বৃদ্ধি এবং বিদেশ যাওয়ার জন্য একটা আবেদন করেছেন। যেটা আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছিলো, আমরা সেটাতে মন্ত্রণালয়ের মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পাঠিয়ে দিয়েছি।

আইন মন্ত্রণালয় থেকে কী মতামত দেওয়া হয়েছে সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন: কী মতামত দিয়েছি সেটা এখনই বলতে পারবো না। এটা এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যাবে। সেখানে অনুমোদন হওয়ার পর আমরা বলতে পারবো কী হলো।

গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন।

আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়: আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। আগের বারের মতো এবারের চিঠিতেও খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর কথা বলে তার মুক্তি চাওয়া হয়েছে।

গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার কারাভোগের মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। দীর্ঘ ২৫ মাস কারাভোগের পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তার ৬ মাসের দণ্ড স্থগিত করা হয়। এরপর ২ দফা তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

এদিকে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। তখন ৫৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর তার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে তার পরবিার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন।