বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য কোর্ট-কাচারির একদিন বৃহস্পতিবার। এদিন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের তিনটি মামলার কার্যক্রম থাকবে আদালতে। এর মধ্যে দুটি মামলায় তিনি আদালতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে বৃহস্পতিবার নাইকো দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের ওপর রায় হওয়ার কথা রয়েছে।
বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। বেলা ১২টায় রায় ঘোষণার সময় ঠিক করা হয়েছে।
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় করা এ মামলায় অভিযোগ করা হয়, কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোর সাথে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চুক্তির মাধ্যমে বেগম জিয়াসহ আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।
মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদনে হাইকোর্টের রায়ের সময় তিনি আদালতে না থাকলেও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ জজ আদালতে হাজির হবেন খালেদা জিয়া।
রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে মামলা দুটির বিচার কাজ চলছে।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দুটিতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক।
আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদক রমনা থানায় মামলা করে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই।
এছাড়াও বুধবার শুনানি শেষে দুদকের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে করা খালেদা জিয়ার করা আবেদনে যে কোনো দিন রায় দেওয়ার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখেছেন হাইকোর্ট।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের করা এ মামলায় খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়। পরেরদিন এই মামলাতেই গ্রেফতার করা হয় খালেদা ও কোকোকে।
কোকো মৃত্যু বরণ করায় তিনি আর এ মামলায় অভিযুক্ত নন।