বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ খোয়া যাওয়ার ঘটনায় ২০ বিদেশীকে সনাক্ত করেছে
দেশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। তদন্তকারী এই গোয়েন্দা সংস্থার দাবি,
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ কিছু এজেন্সির খামখেয়ালীপনার কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ খোয়া গেছে।
সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আলম জানান, ফিলিপিন্স এবং শ্রীলংকায় সিআইডির দু’টি তদন্তদল গিয়ে ব্যাংক রিজার্ভ চুরির সঙ্গে জড়িত ২০ বিদেশীর সম্পৃক্ততার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভেতরে যারা ব্যাংকের বিভিন্ন সুরক্ষার দায়িত্বে ছিলেন, রিজার্ভ চুরির পেছনে অবশ্যই তাদের উদাসীনতা ছিলো। এই খামখেয়ালীপনার পেছনে কোনো অপরাধ করার পরিকল্পনা ছিলো কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও কিছু তথ্য-প্রমাণ লাগবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু উপাদান, অর্থাৎ কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তিকে সনাক্ত করেছি, যারা নিজস্ব ভূমিকা ঠিকমতো পালন করতে পারেননি, যে নিরাপত্তাজনিত পদক্ষেপগুলো নেয়া দরকার ছিলো তারা সেসব পদক্ষেপ নেননি। আমরা এখন শুধু ঘটনার সঙ্গে তাদের সংযোগটা খুঁজে বেড়াচ্ছি।’
মোবাইলে প্রতারণায় জড়িত চক্র গ্রেফতার
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোবাইল ব্যাংকিং অপরাধের সঙ্গে জড়িত গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ারের দুই কর্মকর্তাসহ সংঘবদ্ধ ১১ প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে টার্গেট ব্যক্তির সিম সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে সিম রিপ্লেসপেন্ট করে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলো।
শাহ আলম বলেন, ‘আপনারা কখনো কখনো জ্বিনের বাদশাহর কল পান, কখনো হ্যালো পার্টির কল পান। আপনাদের বড় বাড়ি বা সেলিব্রিটি কারও সঙ্গে ডিনারের অথবা অন্য বড় কিছুর লোভ দেখিয়ে বলা হয় আপনি ৩শ’ বা ৫শ’ টাকা বিকাশ করলে পুরস্কারটি প্রসেস করে দেয়া হবে।’
বিকাশসহ দেশে যেসব মোবাইল ফাইন্যন্সিং সার্ভিসগুলো চালু আছে, সেগুলো ব্যবহার করে অপরাধীরা নানাভাবে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে আসছে বলে জানান তিনি।
১১ জনের মধ্যে ৬ জনকে রিমান্ডে নিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি।