স্বাক্ষর নেওয়া আগেই শেষ হয়েছে, শুধু বাকি ছিলো বৈধতা পরীক্ষার। বুধবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গৃহীত গণস্বাক্ষরকে বৈধ ঘোষণা করার পরপরই নিশ্চিত হয়ে গেছে যে বার্সেলোনা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তেমেউয়ের বিপক্ষে অনাস্থা ভোট হচ্ছেই।
আর অনাস্থা ভোট হলে আগামী বছরের আগেই বার্তেমেউয়ের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শেষ কয়েক মৌসুমের বিবর্ণ পারফরম্যান্স, অকার্যকর দলবদল, আর খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিবাদ; সবমিলিয়ে সমর্থকদের কাছ থেকে দিন দিন সমর্থন হারাচ্ছিলেন বার্সার বর্তমান সভাপতি। তারই প্রতিফলন ঘটেছে ক্লাবটির গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে। ১৬ হাজার ৫২১ জন বৈধ সদস্য স্বাক্ষর দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন বার্তেমেউকে আর তারা দেখতে চান না।
ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের জন্য অন্তত ১৬,৫২১ জন নিবন্ধিত সমর্থকের স্বাক্ষর প্রয়োজন। আর বার্তেমেউ বিরোধী জর্ডি ফারের দাবী ছিলো তারা তারা ২০ হাজার ৭৩১টি স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। সর্বোচ্চ ২০ কর্মদিবসের আগে এসব স্বাক্ষরের বৈধতা পরীক্ষা করতে হত। তা করার পর বুধবার জানানো হয়েছে বার্তেমেউকে অনাস্থা ভোটে ফেলার মত ১৬ হাজার ৫২১টি বৈধ স্বাক্ষর হয়ে গেছে।
অনাস্থা ভোটে যদি দুই-তৃতীয়াংশ ভোট বার্তেমেউয়ের বিপক্ষে যায় তখন নির্ধারিত সময়ের আগেই পদ ছাড়তে হবে তাকে এবং দ্রুত নতুন সভাপতি নির্বাচন হবে। আগামী মার্চে ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা আছে।
শতবর্ষী বার্সার ইতিহাসে বার্তেমেউ হতে চলেছেন তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হতে যাচ্ছে বা হয়েছে। যদিও আগের দুইজনকে অনাস্থা ভোট দিয়ে পরে সরানো যায়নি তবে বার্তেমেউকে ঘিরে আছে শঙ্কা। একাধিক স্প্যানিশ গণমাধ্যমের দাবী জনরোষের মুখে ক্লাব ইতিহাসে প্রথম পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট যেন হতে না হয় তার আগেই পদত্যাগের বন্দোবস্ত সারছেন বার্তেমেউ।