খাগড়াছড়িতে এই বছর পাহাড়ী জমিতে আম বাগান রয়েছে ২ হাজার ৭’শ৯৬ হেক্টর।প্রতি বছরই বাড়ছে বাগানের সংখ্যা। স্থানীয় বাজারগুলোতে প্রচুর আম উঠলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা।
এই বছর খাগড়াছড়িতে অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি কেজি আম বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, এই বছর আমাদের আমের পিছনে দোকানের ভাড়াসহ অনেক খরচ হয়েছে। আর আমের ন্যায্য দাম না পেয়ে অনেক লোকসান হচ্ছে আমাদের।
কৃষকরা আরো বলেন, সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, যেনো আগামী বছর থেকে আমাদের আমগুলো বাইরে রপ্তানি করার ব্যবস্থা করে দেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, নিজ উদ্যোগে তারা বাইরের জেলাগুলোতে আম নিয়ে গেলেও সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা না থাকায় তারা সুবিধা করতে পারছেন না।
কয়েকজন আম ব্যবসায়ী বলেন, যদি অন্যান্য জেলার ব্যবসায়ীরা বাইর থেকে এখানে এসে আম নিয়ে যেতো তাহলে তারা ও আমরা উভয়ই লাভবান হতাম।
জেলার পাহাড়ি এলাকাগুলোতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রচুর আম উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে খাগড়াছড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক যুগল পদ দে বলেন, বিভিন্ন ফল ভিত্তিক সংগঠন তৈরি করা এবং তাদের বাজারে বিপনন ব্যবস্থা করা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ও আড়তদারের সঙ্গে লিংক তৈরি করা এবং নিজেদের ফল নিজেরা সংগ্রহ করে বাজার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিপনন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আমরা পরামর্শ দিচ্ছি।
এবছর আম্রপালি, মল্লিকা, রত্না, গোপালভোগ, রাঙ্গুয়া, হিমসাগর জাতের আমের উৎপাদন হয়েছে অনেক বেশি।