চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

খাওয়ার পর ছুড়ে ফেলা সিগারেটেও অনেক ক্ষতি

নুসরাত শারমিন: ধূমপায়ীরা নিজের সন্তানের সামনে পারতপক্ষে ধূমপান করেন না স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার কথা ভেবে। কিন্তু আপনি ধূমপান করার সময়ে আপনার সন্তান সেখানে উপস্থিত না থেকেও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

সিগারেটের ধোঁয়া বাতাসের জলীয়বাষ্পের সংমিশ্রণে এসে এক ধরণের আঠালো উপাদান সৃষ্টি করে যা ঘরের আসবাবপত্র, দেয়ালে এবং মেঝেতে লেগে থাকে।

এগুলো বিভিন্নভাবে ছোট শিশুদের শরীরে প্রবেশ করে। ফলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঝুঁকির সম্মুখীন হয় বলে জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার বারকেলি ল্যাবরেটরির গবেষকরা।

সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যে সব শিশুরা হামাগুড়ি দেয় কিংবা যা কিছু হাতের কাছে পায় সব কিছুই মুখে দেয় তারাই এই ঝুঁকির আওতাভুক্ত। কারণ মেঝেতে কিংবা ঘরের নানান জিনিসপত্রে লেগে থাকা এসব আঠালো উপাদানগুলো সরাসরি তাদের পেটে যায় এবং তাদের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ব্যাহত করে।

ওই গবেষণায় নেতৃত্বে দেয়া বো হ্যাং জানান, যে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর সিগারেটের ধোঁয়ার নেতিবাচক এই প্রভাবের ব্যাপারে তিনি আগেই অনুমান করেছিলেন। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে তা জনসম্মুখে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো বলেন, যে সিগারেট খাওয়ার পরে তা ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়। কিন্তু সেই সিগারেটটির ক্ষতিকর প্রভাব অনেক দীর্ঘমেয়াদী।

ইঁদুরছানার ওপর চালানো এই গবেষণাটিতে দেখা যায় যে যেই ইঁদুরছানাগুলো সিগারেটের ধোঁয়ার ক্ষতিকর আঠালো উপাদানের সংস্পর্শে ছিল সেগুলো অন্যান্য ইঁদুরছানাদের তুলনায় দূর্বল এবং সেগুলোর বৃদ্ধি ছিলো ধীরগতির। এছাড়াও সেগুলোর রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা অনেক কম ছিলো। এসব ইঁদুরছানার রক্তে বিশেষ ধরণের শ্বেতরক্তকণিকার উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে যা এলার্জি সৃষ্টির জন্য দায়ী।

গবেষকদের মতে ক্ষতিকর আঠালো উপাদানের প্রতিবারের সংস্পর্শের ফলে সৃষ্ট শিশুদের রক্তকণিকার এই পরিবর্তন প্রক্রিয়াটি প্রায় চৌদ্দ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। প্রাপ্ত বয়ষ্কদের উপর এই ক্ষতিকর প্রভাব প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে। নিঃসন্দেহে নতুন প্রজন্মের জন্য এটি একটি বড় হুমকি।