কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই উৎসাহ আর উদ্দীপনায় ইংরেজী নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে রাজধানীবাসী। আতশবাজির ঝলকানির মধ্যে টিএসসি এলাকায় তারুণ্যের আবেগ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে বর্ষবরণের উল্লাস করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রাত ১২টা এক মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসির সড়ক মোহনা। ফেলে আসা বছরের সব ব্যর্থতা গ্লানি মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ী তারুণ্যের দীপ্ত পদভারে ঝলমলে হয়ে ওঠে টিএসসি চত্বর।
নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে টিএসসি চত্বরে সমাবেশকে নিরুৎসাহিত করা হলেও বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো এসে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা।
তার বলেন, পুরনো দিন ফেলে আমরা নতুনভাবে এগিয়ে যাবো। সবাই মিলে বাংলাদেশটাকে সুন্দরভাবে গড়বো। এসময় কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলে পুলিশ, ডিবি ও বিশেষ বাহিনী সোয়াট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ডক্টর এ এম আমজাদ বলেন, এখানে-সেখানে জড়ো হওয়া যাবে না, এমন বিধি-নিষেধের পরও ছাত্ররা এখানে এসেছে এটাকে আমরা খারাপ দৃষ্টিতে দেখিনি। এখানে তারা নিশ্চিন্তে, নিজেদের মতো করে আনন্দ করেছে।
বন্ধ করে দেয়া হয় হাতিরঝিল এলাকা। গুলশান বনানী বারিধারা ও কূটনীতিক এলাকা ছিলো আরও নিরাপত্তার বেষ্টনিতে। চলে ডগ স্কোয়াড তল্লাসি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বেড়ে যায় পুলিশের মোটরসাইকেল টহল।
র্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শুধু অভ্যন্তরীণ সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পদ্ধতিতে নিরাপত্তা চিন্তা করতে হয়।
মধ্যরাতের অনেক পরেও টিএসসিতে চলে বর্ষবরণ উৎসব।