আদালতে বিচারকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় হাইকোর্টে এসে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি পেলেন পিরোজপুর আদালতেত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মো. আলা উদ্দিন।
মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এসে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে আদালত খান মো. আলা উদ্দিনকে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে এসংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন।
আদালতে পিপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
একটি জামিন শুনানির সময় এজলাসে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো ও স্বাভাবিক বিচারকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ এই পিপির বিরুদ্ধে গত ২৫ জুলাই লিখিত আকারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে অবগত করেন পিরোজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর মো. নোমান। এরপর বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি বিষয়টি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠালে আদালত ১৭ অক্টোবর শুনানি নিয়ে পিপির প্রতি আদালত অবমাননার রুল জারু করে তাকে হাজির হতে নির্দেশ দেন।