চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ক্লাসেন-ডুমিনিতে ঢাকা পড়ল ধোনি-পান্ডের বীরত্ব

চলতি সিরিজেই অভিষেক। ওয়ানডে খেলেছেন চারটি, নেই কোন ফিফটি। টি-টুয়েন্টিতে সেখানে নেমেছেন সবে দ্বিতীয়বার। সেই হেনরিখ ক্লাসেনের ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতকটাই সাউথ আফ্রিকাকে পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের করে আনল। ধোনি-পান্ডের বীরত্বকে আড়ালে ঠেলে ৬ উইকেটের জয় তুলে সিরিজে ফিরল স্বাগতিকরাও।

তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে এখন ১-১এ সমতা। ভারত প্রথমটি জিতে এগিয়ে ছিল। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি ২৪ ফেব্রুয়ারি, কেপটাউনে। আগে টেস্টে ২-১এ সিরিজ জেতে দাপুটে সাউথ আফ্রিকা। পরে ওয়ানডেতে পাল্টা দাপট দেখিয়ে ৫-১এ সিরিজ পকেটে ভরেছে কোহলির ভারত।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

বুধবার সেঞ্চুরিয়নে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৮ রান জমা করেছিল ভারত। জবাবে ৮ বল আর ৬ উইকেট অক্ষত রেখেই জয়ে নোঙর ফেলে সাউথ আফ্রিকা।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়ারা শুরুতেই স্মুটসকে (২) হারায়। দ্রুত ফিরে যান হেনড্রিকসও (২৬)। এরপরই ডুমিনি ও ক্লাসেনের প্রতিরোধ। দুজনে ৯৩ রান যোগ করেন ৪৯ বলে। যার ৬৯ রানই এসেছে ক্লাসেনের ব্যাটে। ৩ চারের সঙ্গে ৭ ছক্কায় ৩০ বলের ঝড় তুলে ডানহাতি ব্যাটসম্যান যখন ফেরেন, ততক্ষণে জয়ের সুবাস পাচ্ছে স্বাগতিকরা।

মিলার (৫) না পারলেও পরে বেহারদিনকে (১৬*) নিয়ে বাকি কাজটুকু সেরেছেন ডুমিনি। জয়ে পা রাখার সময় ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক, ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৪০ বলের ইনিংস সাজিয়ে।

মূর্তিকারিগর

তাতে ভুবনেশ্বরের ৩ ওভারে ১৯, ঠাকুর ও পান্ডিয়ার ৪ ওভার করে চেষ্টায় ৩১ রানে এক উইকেট, আর উনাদাতের ৩.৪ ওভারে ৪২ রানে ২ উইকেটের প্রচেষ্টা বৃথাই গেছে। ঝড়টা অবশ্য চাহালের ওপর দিয়েই গেছে বেশি, ৪ ওভারে ৬৪ রান বিলিয়েছেন পেসস্বর্গে দারুণ সিরিজ কাটাতে থাকা লেগস্পিনার।

অথচ ম্যাচে বীরত্বের গল্পটা হতে পারত কেবল ধোনি ও পান্ডিয়াকে ঘিরে। ধাওয়ান ২৪, রোহিত শূন্য, কোহলি ১, রায়না ৩১ রানে ফেরার পর রানের জন্য লড়াই দেখছিল ভারত। সফরকারীদের সেই লড়াইয়ে উতরে দেন বুড়ো হাড়ের ভেল্কি দেখানো ধোনি ও মনিষ পান্ডে। দুজনে অবিচ্ছিন্ন ৯৮ রানের জুটি গড়েছেন, ৫৬ বলে।

ধোনি ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন মাত্র ২৮ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংস সাজিয়ে। পান্ডে সেখানে ৪৮ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত, তার ৪৮ বলের ইনিংসটি ৬ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো। শেষপর্যন্ত দুজনের দুর্দান্ত প্রতিরোধটা পরাজয়ের খাতাতেই লেখা থাকল।