মনে হচ্ছিল উইকেটশূন্য মধ্যবেলার পর চা পানের বিরতিতে যেতে হবে বাংলাদেশকে। সেটি হতে দিলেন না নাঈম ও মিরাজ। বিরতির ঠিক আগের দু-ওভারে সাফল্য এনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেল বের করে ফেলেছেন দুই টাইগার স্পিনার।
আগেরদিন পাওয়া চোটে শুক্রবার মাঠে নামতে পারেননি সাকিব আল হাসান। তাইজুল-নাঈম-মিরাজ সকালের সেশনে তুলে নেন ৩ উইকেট। ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে চা বিরতির পর সফরকারীদের গুটিয়ে দেয়ার পথ করে ফেলেছে স্বাগতিকরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান। বাংলাদেশের চেয়ে এখনও ১৭৭ রানে পিছিয়ে ক্যারিবীয়রা। প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রান করে অলআউট হয় টাইগাররা।
ব্লেকউড ও জশুয়া ডি সিলভা দ্বিতীয় সেশনে উইকেটে জাঁকিয়ে বসেন। ক্লান্ত করে তোলেন টাইগার বোলারদের। দুজনে জুটিতে যোগ করেন ৯৯ রান। ডি সিলভাকে (৪২) উইকেটের পেছনে লিটনের গ্লাভসবন্দি করে জুটি ভাঙেন নাঈম।
পরের ওভারে আঘাত হানেন মিরাজ। ফিফটি করা ব্লেকউডকে দেখান সাজঘরের পথ। এবারও উইকেটের পেছনে আরেকটি দুর্দান্ত ক্যাচ নেন লিটন। ৬৮ করে ফিরতে হয় ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানকে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল সফরকারীরা। প্রথম বলেই সাফল্য তোলে বাংলাদেশ। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান এনক্রুমা বোনার (১৭)। ভাঙে ৫১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।
পরে বাংলাদেশের পথের কাটা হয়ে ওঠা ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে বোল্ড করে দেন নাঈম হাসান। উইন্ডিজ অধিনায়ক ১১১ বলে করেন ৭৬ রান। তার ইনিংসে চারের মার ১২টি।
চতুর্থ উইকেট জুটিও ফিফটি পেরোয়। আসে ৫৫ রান। ব্র্যাথওয়েটের সঙ্গে দারুণ খেলতে থাকা কাইল মেয়ার্স আউট হন ফিফটির আগে, দলের দেড়শর পর। ৪০ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে হন এলবিডব্লিউ।
আগেরদিন জোড়া উইকেট শিকার করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২ উইকেট হারিয়ে ৭১ রানে দিন শেষ করেছিল উইন্ডিজ।