চট্টগ্রাম থেকে: সাবেক ক্রিকেটার, কোচ ও সংগঠক মো. আমিরুজ্জামান বাবুর (আমির বাবু) দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। জাতীয় গণমাধ্যমে তার অসুস্থতার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গা থেকেই পাচ্ছেন আর্থিক সাহায্য। বিপিএলের দল রাজশাহী কিংসও আশির দশকে ঢাকার ক্রিকেটে আধিপত্য দেখানো এ পেস বোলারের পাশে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চিটাগং ভাইকিংসের সঙ্গে ম্যাচ শুরুর আগে আমিরুজ্জামানের পারিবারিক বন্ধু শফিকুল ইসলামের হাতে দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেন রাজশাহী কিংসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শামসুর রহমান।
রাজশাহী কিংসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদ আজিজুল হক এ ব্যাপারে জানালেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন যেখানে এসেছে তার পেছনে অনেক মানুষের অবদান আছে। অনেকেই টাকার কথা না ভেবে ক্রিকেটের জন্য সারাজীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। আমিরুজ্জামান সেরকমই একজন।’
‘ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট খেলেছেন, পরে মাদারীপুর ক্রিকেট ক্লিনিক থেকে তার হাত ধরে উঠে এসেছেন অনেক ক্রিকেটার। তার দুঃসময়ে রাজশাহী কিংস পরিবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাশে এসে দাঁড়ানোর। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাসহ সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা আশা করি, আমিরুজ্জামানের চিকিৎসার জন্য বাকি যে অর্থ প্রয়োজন, সেটি সংগ্রহ করার জন্য ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাই তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করবে।’
ঢাকা আজাদ বয়েজ ক্লাবের সাবেক ক্রিকেটার এবং মাদারীপুরের ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ আমির বাবু। তিনি ১৯৮৫-৮৬ থেকে ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে ঢাকা আজাদ বয়েজ ক্লাবের হয়ে খেলেন এবং ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে তার ক্লাব প্রথম বিভাগ লিগ থেকে প্রিমিয়ার লিগে ওঠে।
আজাদ বয়েজ ক্লাবের হয়ে তিন বছরে তিনি ৬৯ উইকেট নেন। ১৯৮৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে খেলেন। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উইলস ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়।
আমির বাবু ১৯৮৮ সালে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের জন্য জাতীয় দলে ডাক পান। কিন্তু তার কিছুদিন আগেই কিডনিজনিত অসুস্থতা দেখা দেয়ায় বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলতে পারেননি।
দীর্ঘদিন যাবত ক্রনিক কিডনি ডিজিজে (সিকেডি) ভোগার পর গত এপ্রিল মাস থেকে প্রতি সপ্তাহে তিনবার তাকে ডায়ালায়সিস করতে হচ্ছে। ৫১ বছর বয়সী আমির বাবু মাদারীপুরে নিজ বাড়িতেই থাকেন। অসুস্থতা নিয়েও খুঁজে বেড়ান ক্রিকেট প্রতিভা। তার মাধ্যমেই উঠে আসে গত বিপিএলে রাজশাহী কিংসের হয়ে খেলা গতিময় পেসার হোসেন আলী।