চট্টগ্রামে আসাই যেন ভুল হয়েছে চিটাগং ভাইকিংসের! ঘরের মাঠে নিজ দর্শকদের সামনে যেখানে জ্বলে ওঠার কথা, উল্টো বেধড়ক মার খেয়ে যাচ্ছেন ভাইকিংস বোলাররা। আগের ম্যাচে রংপুর রাইডার্স গড়েছে বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড, পরের দিন তাদের বিপক্ষে দুইশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পেয়েছে রাজশাহী কিংস।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবারের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯৮ রানের বিশাল পাহাড় গড়েছে রাজশাহী। জিততে ১৯৯ রান তাড়া করতে হবে মুশফিকুর রহিমের দলকে।
টানা দুই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে সিলেটের উত্থানে সবচেয়ে বেশি বিপাকে রাজশাহী। কারণ সমান আট পয়েন্ট থাকলেও রানরেটের কারণে সিলেটকে টেবিলে নিজেদের জায়গাটা ছেড়ে দিয়ে ছয়ে নেমে যেতে হয়েছে।
হারানো জায়গার সঙ্গে ব্যাটিংয়ের শক্তি বাড়াতে উইন্ডিজ থেকে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জনসন চার্লসকে উড়িয়ে এনেছে রাজশাহী। চিটাগংয়ের বিপক্ষে নামিয়ে দেয়া হয়েছে ওপেনিংয়ে। মুমিনুল হককে বসিয়ে তার সঙ্গী দলে ঢোকা সৌম্য সরকার।
শুরুটা খারাপ করেননি সৌম্য-চার্লস। পাওয়ার প্লেতে দুজনে মিলে তোলেন ৫০ রান। তারচেয়ে বড় বিষয় আবারও অনেকদিন পর ঝলক দেখা যাচ্ছিল সৌম্যের ব্যাটে।
কিন্তু নামের সুবিচার করতে পারেননি সৌম্য। পাওয়ার প্লের শেষ বলে খালেদ আহমেদকে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মুশফিকুর রহিমের হাতে। যাওয়ার আগে তার ২০ বলে ৫ চারে ২৬ রানের ইনিংসটি হয়ে রইল আক্ষেপের বিষয়!
সৌম্যের থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু রাজশাহীকে সেই আক্ষেপে পুড়তে দেননি চার্লস ও এবারের বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান লরি ইভান্স। দুজনে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তুলেছেন ৭০ রান।
২৯ বলে ৩৬ করে ইভান্স ফিরলেও প্রথম ম্যাচেই ফিফটি তুলে নিয়েছেন চার্লস। আবু জায়েদ রাহির বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ার আগে ৪৩ বলে খেলেছেন ৫৫ রানের ইনিংস, যাতে ৫ চারের সঙ্গে ছক্কার মার ছিল ২টি।
শেষদিকে ক্রিস্টিয়ান জোঙ্কারের ১৭ বলে ৩৭ ও রায়ান টেন ডেসকাটের ১২ বলে ২৭ রানে জেগেছিল দুইশোর বেশি সংগ্রহ পাওয়ার সম্ভাবনা। সেটি না হলেও যা হয়েছে সেটিও চিটাগংয়ের জন্য পাহাড়সমই।