বিপিএলের চলতি আসরে শেষ চারে নাম লিখিয়েছে মুশফিকের চিটাগং ভাইকিংস, মাশরাফীর রংপুর রাইডার্স ও ইমরুলের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। কেবল একটি দলের অপেক্ষা। সেই দলটি হওয়ার লড়াইয়ে নিজেদের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখল রাজশাহী কিংস।
চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটের জয়ে সিলেট সিক্সার্সকে বিদায় করে দিয়েছে রাজশাহী। দুই ওভার হাতে রেখেই সিলেটের দেয়া ১৯০ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় মেহেদী হাসান মিরাজের দল। হাতে যদিও এক ম্যাচ আছে অলোক কাপালির সিলেটের। তবে ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্টে টেবিলের ছয়ে থাকা দলটির জন্য শেষ ম্যাচটি হবে কেবলই আনুষ্ঠানিকতার।
এই জয়ে গ্রুপ পর্বের নির্ধারিত ১২ ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্টে ঢাকা ডায়নামাইটসকে টপকে টেবিলের চারে উঠে এসেছে রাজশাহী। ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্টে পাঁচে অবস্থান সাকিব আল হাসানের ঢাকার। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে ঢাকা জয়বঞ্চিত হলে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে উঠে যাবে রাজশাহী!
বাঁচা-মরার ম্যাচে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বাছাইয়ে বুদ্ধির পরিচয় দেয় রাজশাহীর টিম ম্যানেজম্যান্ট। সৌম্য সরকারকে সরিয়ে জনসন চার্লসের সঙ্গে জাকির হাসানকে ওপেনিং করিয়ে সিলেটকে শুরুতেই ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা ছিল রাজশাহীর। সৌম্যকে মজুত রাখা হয় শেষদিকে আগুণ ঝরানোর জন্য। যদিও দলীয় ১৪ রানের মাথায় জাকির ব্যক্তিগত ৭ রানে আউট হওয়ার পর উল্টো বিপদে পড়ে রাজশাহী।
নামের সুবিচার করতে পারেননি শাহরিয়ার নাফিসও। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৩ বলে ৯ রান করে নিজের সঙ্গে দলের হাহাকারটাও বাড়িয়েছেন চলতি বিপিএলে কেবল তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামা বাঁহাতি ব্যাটসমান।
৫৬ রানের মধ্যে জাকির ও নাফিসের উইকেট হারানোর পর রাজশাহীর রানের চাকা সচল রেখেছিলেন জনসন চার্লস। ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান আরও ধ্বংসাত্মক হওয়ার আগেই সাব্বির রহমানের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত করেন অলোক কাপালি। ফেরার আগে ২৬ বলে ৩৯ রান করে গেছেন চার্লস।
চার্লস যখন সাজঘরের পথে, ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রানে তখন কাঁপছে রাজশাহী। সেই অবস্থা থেকে রায়ান টেন ডেসকেটকে সঙ্গী করে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেন ম্যাচ সেরা লরি ইভান্স।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে পাল্টা আক্রমণ করে সিলেটের বোলিং আক্রমণ বেসামাল করে দিয়েছেন দুজনে। ওভার প্রতি দশের বেশি রান তুলে তারা জুটি গড়েন ১০৯ রানের।
জুটিতে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন ইভান্স। উইকেটের চারিদিকে খেলে ২১১ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৩৬ বলে ৭৬। সোহেল তানভিরের বলে আফিফ হোসেনের দারুণ এক ক্যাচে সাজঘরে ফেরার আগে ১০ চারের সঙ্গে দুটি ছক্কার মার ছিল ইংলিশ ব্যাটসম্যানের।
কম যাননি ডেসকাটও। ৩ চারের সঙ্গে ২টি ছয়ের সাহায্যে ২৩৩ স্ট্রাইকরেটে ১৮ বলে ৪২ করে আউট হয়েছেন এ ডাচ অলরাউন্ডার।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নিকোলাস পুরানের ৩১ বলে অপরাজিত ৭৬ ও সাব্বিরের ৪৫ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ১৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় সিলেট।