চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ক্রিকেট কার্যালয়ে হামলার কারণে দশ শিবসেনা গ্রেফতার

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সদর দপ্তরে হামলাকারী দশ শিবসেনাকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ।

আগামী ডিসেম্বরে পাক-ভারত সিরিজ বিষয়ে সোমবার সকালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহরের সঙ্গে বৈঠক বসার কথা ছিল পাক বোর্ড প্রেসিডেন্ট শাহরিয়র খানের। কিন্তু, এ দিন সকালে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিসিসিআই-এর সদর দফতরে সেই বৈঠক শুরুর আগেই হাজির হন শিবসেনা সমর্থকেরা।

কার্যালয়ের দরজা ঠেলে তারা দফতরের ভিতরে ঢুকে পড়ে। মুখে তাঁদের পাক বিরোধী স্লোগান। প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘গো ব্যাক শাহরিয়র’। সরাসরি তাঁরা বোর্ড প্রেসিডেন্টের ঘরে ঢুকে পড়েন। তাঁর টেবিল ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মনোহরের কাছে দাবি একটাই, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও বৈঠক নয়।

সীমান্তে নিয়মিত হামলা চালানোর প্রতিবাদে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও সম্পর্কেই জড়াতে রাজি নয় শিবসেনা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এ দিনের বৈঠক বাতিল করে দিতে বাধ্য হন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এ দিন এই ঘটনার পর দিল্লিতে বৈঠক সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই।

সপ্তাহ দুয়েক আগে এই মুম্বইতেই একই ইস্যুতে পাক গজল শিল্পী গুলাম আলির একটি অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় শিবসেনারা। তাদের লাগাতার হুমকির মুখে পড়ে উদ্যোক্তারা ওই অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এর কয়েক দিন পরে আবারও শিবসেনার দাপট দেখা যায়। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী খুরশিদ মাহমুদ কাসুরির একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানকে ঘিরে তারা রীতিমতো উঠেপড়ে লাগে। নানা ভাবে চাপ দিয়েও যখন অনুষ্ঠান বন্ধ করা যায়নি, তখন সেনা সমর্থকেরা ওই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা সুধীন্দ্র কুলকার্নির মুখে কালি লেপে দেয়।

এই ঘটনার পর শিবসেনা জানিয়েছিল, পাক সন্ত্রাসবাদের হামলা ভুলে কুলকার্নির মতো ‘পাক-এজেন্ট’-এর মুখে কালি লেপে তারা গণতান্ত্রিক ও অহিংসার পথই নিয়েছে। ওই দিন যদিও কাসুরির বই প্রকাশ পেয়েছিল। কিন্তু, গোটা দেশ ফুঁসে উঠেছিল প্রতিবাদে।

প্রধানমন্ত্রী কেন এত কিছুর পরেও চুপ করে আছেন, ওঠে সেই প্রশ্ন।পরে যদিও প্রধানমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানি সঙ্গীত শিল্পীর বিরুদ্ধাচারণের ঘটনা দুঃখজনক, অনভিপ্রেত। কিন্তু এই ঘটনাগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকাটা কী তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর এই ‘মিশ্র’ বয়ান শিবসেনাকে যে উৎসাহ দিয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এ দিনের ঘটনা তারই প্রমাণ। মহারাষ্ট্রে সেনা-বিজেপির মিলিজুলি সরকারের এমন কর্মকাণ্ডে কেন্দ্র যদি হাত গুটিয়ে বসে থাকে তবে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আরও ঘটবে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের আশঙ্কা।