চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ক্রিকেটে কেন তিস্তা নিয়ে তিক্ততা সৃষ্টি করবো: প্রধানমন্ত্রী

একজন বাঙালির দাওয়াতে কলকাতায় যাচ্ছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী

বিসিসিআই চেয়ারম্যান সৌরভ গাঙ্গুলীর আমন্ত্রণে কলকাতা সফরে সেখানকার মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক কোন আলোচনা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: আমি সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী কিংবা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে যাচ্ছি না। সেখানে যাচ্ছি ক্রিকেটের একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। ক্রিকেটে কেন তিস্তা টেনে এনে তিক্ততা সৃষ্টি করবো? এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি, সামনে আরও আলোচনা হবে। 

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট-ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়া শেষে দেশে ফিরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: সৌরভ গাঙ্গুলি ভালো একজন ভালো ক্রিকেটার ছিলো। সে যখন বিসিসিআই’র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেল, সঙ্গে সঙ্গে চাইলো আমার সঙ্গে কথা বলতে, তার সঙ্গে আমার ফোনে কথা হল; সে আমাকে দাওয়াত দিল, আমি যেন খেলার শুরুতে থাকি। আমি রাজি হয়ে গেলাম।

কোন প্রধানমন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর দাওয়াতে নয় একজন বাঙালির দাওয়াতে কলকাতায় যাচ্ছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন: এটা কিন্তু ইন্ডিয়ান প্রাইম মিনিস্টার এর দাওয়াত না আবার মুখ্যমন্ত্রীর দাওয়াত না। এটা সৌরভ গাঙ্গুলি দাওয়াত দিয়েছে, আমি বলছি আসবো। একজন বাঙালি দাওয়াত দিয়েছে, আমি বলেছি আসবো। তাছাড়া একটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে এতো প্রটোকল এটা-সেটা সবসময় থাকবে কেন?

তিনি আরও বলেন: আমি শুধু যাবো তাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা দেখতে আর বিকেলেই চলে আসব।

এই সফরে তিস্তা নিয়ে তিক্ততা সৃষ্টি করতে চান না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন: সেখানে তিস্তা এগুলো নিয়ে তিক্ততা কেন সৃষ্টি করবো, এগুলি তো বলার সময় আছে, এগুলি আমরা বলি, সামনে আরও বলতে পারবো।

২২ নভেম্বর কেলকাতার ইডেন গার্ডেনে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার টেস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে তিনি আগের দিন রাতে কলকাতার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং পরদিন বিকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আবার ঢাকা ফিরে আসবেন।

এর আগে, ২৫ থেকে ২৬ অক্টোবর উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট- ন্যামের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। ‘বান্দুং সম্মেলনে গৃহীত নীতিমালার আলোকে সমকালীন বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ নিয়ে’ ন্যাম সম্মেলনে এক আলোচনায় বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।  ন্যাম সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকটের ব্যাপকতা তুলে ধরে এর সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন প্রধানমন্ত্রী।