প্রাচীনকাল থেকেই সবাই যোগ ব্যায়ামের অনেক উপকারিতার কথা জানে। দৃঢ় ও নমনীয় মাংসপেশী গঠনে, শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সুদৃঢ় হৃদপেশী গঠনে যোগ ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। আবার বলা হয় যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে আদর্শ বাবাও হওয়া যায়। হতাশা ও দুশ্চিন্তা দূর করার সবথেকে বড় হাতিয়ার যোগ ব্যায়াম। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, যোগ ব্যায়ামে মূত্রথলিতে ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেডিয়েশন থ্যারাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঠিক হয়ে যায়।
সোসাইটি অব ইন্টেগ্রেটিভ অব ওনকোলোজি’র ১২ তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে, পেনসেলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারেলম্যান স্কুল অব মেডিসিনের একদল গবেষক ক্যান্সার রোগীদের ওপর পরিচালিত নতুন গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, মূত্রথলিতে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেডিয়েশন থ্যারাপি বিভিন্ন ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এই থ্যারাপির ফলে রোগীদের মধ্যে একধরণের ক্লান্তি কাজ করে, প্রস্রাবে সমস্যা দেখা দেয়। যোগ ব্যায়াম করলে রোগীরা ওই সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিয়েশন ওনকোলোজি বিভাগের প্রফেসর ও পেনসেলভেনিয়া’র আব্রামসন ক্যান্সার সংস্থার গবেষক ড. নেহা ভাপিওয়ালা বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসা রোগদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ এই থ্যারাপির জন্য রোগীরা অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ঘুমালে বা বিশ্রাম নিলে সেই ক্লান্তি দূর হয় ঠিকই। কিন্তু রোগীরা নিত্য দিনের কাজকর্ম ঠিকভাবে করতে পারেনা। যোগ ব্যায়ামে রোগীর শরীর ও মন প্রফুল্ল হয়ে ওঠে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
২০১৩ সালের মে মাস থেকে ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত গবেষণার অংশ হিসেবে বেশ কিছু সংখ্যক মূত্রথলির ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী সপ্তাহে দুই দিন ৭৫ মিনিট করে যোগ ব্যায়াম করেছে। গবেষণা শেষে দেখা গেছে যে, রোগীরা যোগ ব্যায়াম করেছে তারা অন্য রোগী যারা যোগ ব্যায়াম করেনি তাদের থেকে অনেক দ্রুত সু্স্থ হয়ে গেছে।