কোচ বলেছেন, বিশ্লেষকরা বলেছেন, প্রথম ম্যাচের পর তিনি নিজেও বলেছেন- ব্রাজিল একজনের উপর নির্ভরশীল দল নয়। সবটুকু আলো যখন নেইমারের উপর, তখন সেই কথা প্রমাণ করতে নিজের কাজটুকু ভালোভাবেই করে চলেছেন কৌতিনহো। তার ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া আরেকটি গোলের দিনে আন্তর্জাতিক গোলে রোমারিওকে টপকে গেছেন নেইমারও।
শুক্রবার কোস্টারিকার বিপক্ষে যোগ করা সময়ের শেষমুহূর্তে গোল করেছেন নেইমার। ব্রাজিলের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় সেটি তৃতীয় স্থানে বসিয়ে দিয়েছে সেলেসাও তারকাকে।
২৬ বছর বয়সী নেইমারের ব্রজিলের হয়ে গোল এখন ৫৬টি, ৮৭ ম্যাচ লাগল তার। ৫৫ গোল করা রোমারিও পেছনে পড়েছেন। সামনে আছেন কেবল ৬২ গোল করা ফেনোমেনন রোনাল্ডো ও ৭৭ গোল করা কিংবদন্তি পেলে।
নেইমারের এই অর্জন গোলের দিনে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন আসলে কৌতিনহো। ৯০ মিনিট পেরিয়ে গেছে। পয়েন্ট ভাগাভাগির সম্ভাবনা। অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছে খেলা। এমন সময় কাজের কাজটি করে দেন ফিলিপে কৌতিনহো। তার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার।
কৌতিনহোর গোল অগ্রগামী বলেই জয়ের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট। প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১এ ড্র করা ম্যাচে কৌতিনহোর বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটটি যখন জালে জড়িয়ে যায়, তখনও এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। যদিও শেষপর্যন্ত পয়েন্ট ভাগ করে ফিরতে হয়। তবে কৌতিনহোর ফর্ম নিশ্চিতভাবেই ব্রাজিলের জন্য খুব সুখকর ইতিবাচক।