করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা তারা সরকারের সহানুভূতিশীল পরামর্শ অমান্য করলে সংক্রামক রোগ আইন প্রয়োগ করা হবে বলে সতর্ক করেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ-আইইডিসিআর।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এমন সতর্কতা জারি করেন।
তিনি বলেন: আমরা চাই না এধরনের কোনো আইন প্রয়োগ হোক। আমরা চাই সবাই মিলে আমরা একসঙ্গে করোনা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবো।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন: সরকারের আইইডিসিআর, জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, আইসিডিআরবি এবং চট্টগ্রামে সংক্রমণ হাসপাতালকে প্রয়োজনে করোনা ভাইরাস শনাক্তে কাজে লাগাবে সরকার। এর বাইরে জেলা শহরে সব হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।
এছাড়া মাস্কের চাহিদা পুরণে সুতি কাপড় কিনে বানিয়ে নেবার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনসাধারণের যে কোনো তথ্য ও সেবা নিশ্চিত করতে বাড়ানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) হটলাইন নম্বরের সংখ্যা।
প্রথমে চারটি নিয়মিত নম্বর থাকলেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১২টি হটলাইন নম্বর ও জাতীয় স্বাস্থ্য বাতায়নের ১৬২৬৩ নম্বরটি ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেই সঙ্গে নতুন আরও চারটি নাম্বার যোগ করা হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন হটলাইন নম্বরগুলো হলো- ০১৫৫০০৬৪৯০১, ০১৫৫০০৬৪৯০২, ০১৫৫০০৬৪৯০৩, ০১৫৫০০৬৪৯০৪, ০১৫৫০০৬৪৯০৫।
সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৬শ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজারের বেশি। বাংলাদেশে প্রথম তিন জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। তবে তাদের মধ্যে দুজন এখন সুস্থ।