লঙ্কান ক্রিকেট কতদিন ধরে পুড়ছে, সেই প্রশ্ন এখন পুরনো। সোমবারের পর বরং আলোচনা হতে পারে, পোড়া লঙ্কার অন্দরে ভারতের দেয়া এই লজ্জা কতটা ক্ষত সৃষ্টি করবে? তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রত্যেকটিতে যাচ্ছেতাই অবস্থা। শেষ ম্যাচে তৃতীয়দিন ইনিংস ব্যবধান আর ১৭১ রানে আত্মসমর্পণ!
এই সিরিজের আগে ভারতীয় ক্রিকেটও একটা উত্তপ্ত পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যায়। অনীল কুম্বলের পরিবর্তে কে হবেন নতুন কোচ, তা নিয়ে মাসব্যাপী নানা নাটকের পর দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতীয় দলের দায়িত্ব পান রবি শাস্ত্রী। আগেরবার প্রধান কোচ ছিলেন না, নাম দেয়া হয়েছিল টিম ডিরেক্টর। সে যাত্রায় খুব একটা খারাপ করেননি। বরং অনেক কোচের চেয়ে তার অর্জন ভালো ছিল। এবার প্রধান কোচ হিসেবে ‘আগুনে’ যাত্রা দেখলেন রবি শাস্ত্রী। দেশের বাইরে তিন কিংবা তার বেশি ম্যাচের সিরিজে এই প্রথম কোনও দলকে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত। কোহলির সঙ্গে তার বোঝাপড়াটা যে কতখানি মজবুত, তা এই সিরিজের ফলই বলে দিচ্ছে।
শেখর ধাওয়ান আর হার্দিকের সেঞ্চুরিতে ভারত প্রথম ইনিংসে হেসেখেলে ৪৮৭ করেছিল। বল করতে নেমে কুলদ্বীপ যাদব, অশ্বিন, আর মোহাম্মদ সামির সামনে তাসের ঘরে পরিণত হয় লঙ্কানরা। ৩৭.৪ ওভারে ১৩৫ রানেই থেমে যায় তাদের লড়াই। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে তুলনামূলক ‘ভালো’ অবস্থা। লড়াই বলতে ম্যাথুজ (৩৫) আর ডিকেভেল্লা (৪১) যা একটু করেছেন। টিকে থাকার সময়সীমা ছিল ৭৪.৩ ওভার। রান ১৮১।
লঙ্কানদের এমন চাপে ফেলতে এই ইনিংসেও অন্যতম ঘাতক অশ্বিন। প্রথম ইনিংসে ২২ রানে দুই উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে চারজনকে ফিরিয়েছেন। সামি নিয়েছেন তিন উইকেট। প্রথম ইনিংসে ছিল দুটি। কুলদ্বীপ প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরান দুজনকে।