মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে ইংল্যান্ডকে এক ইনিংস ও ৩৬ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ টেস্টর চতুর্থটি শেষে ৩-০ তে সিরিজ জিতে নিল ভারত। বিরাট কোহলির অসাধারণ ব্যাটিংয়ের পর ছয় উইকেট নিয়ে ইংলিশদের ইনিংস প্রায় একাই গুঁড়িয়ে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
ম্যাচের পঞ্চম দিন ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে সফরকারীদের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান। হাতে চার উইকেট। তবে অশ্বিনের স্পিন ঘূর্ণিতে ইনিংস পরাজয়ই হয় অ্যালিস্টার কুকু বাহিনীর।
আগের দিনে ৫০ রানে শেষ করা জনি বেয়ারস্টো এদিন মাত্র এক রান করেই সাজ ঘরে ফেরেন। জস বাটলার অপরাজিত থাকলেও, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ ও জেমস অ্যান্ডারসনকে একাই ফেরান অশ্বিন। শেষ পর্যন্ত ১৯৫ রানে থামে ইংল্যান্ডের ইনিংস।
ওয়াংখেড়ের রাজা বিরাট কোহলি৷ রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ছেন ভারতীয় অধিনায়ক৷ ডাবল সেঞ্চুরির সঙ্গে আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন কোহলি৷ টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় ডবল সেঞ্চুরি৷
সোমবার টেস্ট ও সিরিজ জয়ের পর আরও একটি রেকর্ড গড়লেন তিনি৷ কোহলিই প্রথম ভারত অধিনায়ক যার নেতৃত্বে পরপর ৫ সিরিজে জয় ভারতের৷ শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড৷ পাঁচ সিরিজে জয়ী অধিনায়ক বিরাট কোহলি ৷
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট নিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন৷ ম্যাচে মোট ১২টি উইকেট অশ্বিনের দখলে৷এ নিয়ে সপ্তমবার ম্যাচে ১০ উইকেট অশ্বিনের ৷
এর আগে ভারতের প্রথম ইনিংসে ২৩৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সেই সঙ্গে সেঞ্চুরি আসে ওপেনার মুরালি বিজয় ও জয়ন্ত যাদবের ব্যাট থেকে। ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে কোহলির হাতে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা তিন সিরিজ পর জয় পেল ভারত। সর্বশেষ দলটি ২০০৮-০৯ মৌসুমে ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চেন্নাইয়ে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট খেলবে দু’দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৪০০ ( জেনিংস ১১২, বাটলার ৭৬, মঈন আলী ৫০ ; অশ্বিন ৬/১১২, জাদেজা ৪/১০৯)
ভারত প্রথম ইনিংস: ৬৩১ (কোহলি ২৩৫, বিজয় ১৩৬, জয়ন্ত ১০৪; রশিদ ৪/১৯২, রুট ২/৩১, মঈন ২/১৭৪)
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ১৯৫ (রুট ৭৭, বেয়ারস্টো ৫১*, কুক ১৮, অশ্বিন ৬/৫৫, জাদেজা ২/৬৩, ভুবনেশ্বর ১/১১, জয়ন্ত ১/৩৯)।
ফল: ভারত ইনিংস ও ৩৬ রানে জয়ী।
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ভারত ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে।