অপেক্ষার অবসান হয়ে বুধবারই বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে নামতে যাচ্ছে ভারত। ঠিক তার ২৪ ঘণ্টা আগে ভারতীয় দল ও সেদেশের মিডিয়ার দ্বন্দ্ব লেগে গেছে। যার জেরে সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে বিরাট কোহলিদের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করা হয়।
ভারতীয় মিডিয়ার খবর, সংবাদ সম্মেলনের সময় নেটে পাঠানো হয় দীপক চাহার, আভেশ খান এবং খলিল আহমেদকে। সংবাদমাধ্যমকে কোনো কিছু না জানিয়ে অনুশীলনে পাঠানো হয় এ তিন বোলারকে। কোচ বা সিনিয়র কেউ যায়নি। পরে বলা হয়, চাহার এবং আভেশ মঙ্গলবার দেশে ফিরে যাচ্ছেন। তাই তাদের প্রেসে কথা বলাটা জরুরি। তারপরই সংবাদমাধ্যমের দিকে থেকে ওই প্রেস কনফারেন্স বয়কট করা হয়।
মিডিয়া আরও বলছে, বিশ্বকাপ এলেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সেদেশের ক্রিকেট দল এবং ম্যানেজমেন্টের সম্পর্ক কিছুটা সাপে-নেউলে হয়ে যায়। ২০১৫ বিশ্বকাপেও ঠিক এমন ঘটনা ঘটেছিল। তবে সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, ‘একদিন পরেই ম্যাচ, কোচ রবি শাস্ত্রী বা কোনো সিনিয়র খেলোয়াড় অথবা কোনো সাপোর্ট স্টাফ অন্তত এসে কথা বলবে।’
কিন্তু ভারতীয় সাংবাদিকরা সংবাদ সম্মেলনে কারও দেখা পাননি। অপেক্ষারত সাংবাদিকদের দলের ম্যানেজার এসে বলেন, ‘চাহকর এবং আভেশ মঙ্গলবারই দেশে ফিরে যাচ্ছে। আর খলিল আহমেদ দলের সঙ্গে লন্ডনে থেকে যাবেন। তাই চাহার ও আভেশের মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়।’
কিন্তু তাতে মন গলেনি সাংবাদিকদের। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন সিনিয়র সাংবাদিকরা। তাদের দাবি, ভারতীয় দল চাইলেই প্রেসকনফারেন্স বাতিল করতে পারে। কিন্তু ড্যামেজ কন্ট্রোলে দীপক চাহার আর আভেশ খানের মতো জুনিয়রদের পাঠিয়ে কী প্রমাণ করতে চাইছে ভারতীয় দল? ম্যাচের আগে দল নিয়ে সিরিয়াস প্রশ্নের উত্তর দেয়ার এখতিয়ার কি রয়েছে এই খেলোয়াড়দের?