চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কোরবানির হাট ও ঈদ যাত্রার বিষয়ে আগে থেকেই ভাবতে হবে

করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জনসমাগম থেকে দূরে থাকা সবচেয়ে প্রয়োজন। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সামনে দুই ধরণের বড় জমায়েতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। একটি হচ্ছে কোরবানির পশুর হাট এবং আরেকটি ঈদযাত্রা।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৪ জনের মৃত্যুতে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২২৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন সর্বোচ্চ নয় হাজার ৯৬৪ জন। এর আগে গতকাল ৪ জুলাই দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল আট হাজার ৬৬১ জন। গতকাল ১৫৩ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এই যখন করোনার পরিস্থিতি, তখন ঈদকে সামনে রেখে জনসমাগমের ও চলাচলের কারণে করোনা মারাত্মক হারে বেড়ে যাবার শঙ্কা করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। গতবছরের দুই ঈদ এবং এবছরের একটি ঈদের আগে পরের অভিজ্ঞতায় ঈদযাত্রা যে কোনো নিয়ম বা বিধিনিষেধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, তা প্রত্যক্ষ করেছে জাতি। আসন্ন ঈদেও সে পরিস্থিতি হতে পারে বলে আমাদের ধারণা।

আসন্ন ঈদে চলাচল নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন: এই যে দুই দফায় ১৪ দিনের লকডাউন এর সুফলটা আমরা ধরে রাখতে চাই। করোনার সংক্রমণ এখনও উর্ধগতি। তৃতীয় সপ্তাহে কী হবে সেটা নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে পরিকল্পনা করছি চলতি মাসের ১২ তারিখ ১৩ তারিখের দিকে আমরা আবারও বসবো। তখন আমরা বিস্তারিত জানাতে পারবো।

আসন্ন ঈদে চলাচল নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন: ‘এই যে দুই দফায় ১৪ দিনের লকডাউন এর সুফলটা আমরা ধরে রাখতে চাই। করোনার সংক্রমণ এখনও উর্ধগতি। তৃতীয় সপ্তাহে কী হবে সেটা নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে পরিকল্পনা করছি চলতি মাসের ১২ তারিখ ১৩ তারিখের দিকে আমরা আবারও বসবো। তখন আমরা বিস্তারিত জানাতে পারবো। ‘ এতে করে বোঝা যাচ্ছে, সরকার ইতিমধ্যে ঈদযাত্রার বিষয়ে ভাবছে। কিন্তু আগে থেকে কোনো স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না পরিস্থিতি বিবেচনায়।

কোরবানির হাটের বিষয়ে মন্ত্রী বলেছেন, করোনার সংক্রমণ রোধে আমরা অবশ্যই মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। তা না হলে লকডাউনের সুফল ধরে রাখা যাবে না। আসন্ন কোরবানির ঈদে মানুষের চলাচল কী হবে হাট ব্যবস্থা কী হবে সে ব্যাপারে আমরা পরে জানাতে পারব।

সম্প্রতি দেশে অনলাইনে গরুর হাটের প্রচলন শুরু হয়েছে। যা করোনাকালে নগর সভ্যতায় কিছুটা প্রভাব রাখবে, কিন্তু সমগ্র বাংলাদেশে এটি খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারবে না। দেশে প্রতিবছর প্রায় দেড় কোটির বেশি গবাদি পশু কোরবানি করা হয়, যা দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বহু গ্রামীণ পরিবার আছে যারা এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করে বছরে একবার। তাদের দিকে ভেবেও কোরবানির হাটের বিষয়ে পরিকল্পিত সিদ্ধান্তে আসা খুবই জরুরি।

কোরবানির হাট হোক বা ঈদযাত্রা হোক, দুই বিষয়েই পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে আগে থেকেই। তাহলেই এই সঙ্কটকালীন সময়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই সহজ হবে।