করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে তার পোষা বিড়াল ও কুকুরের শরীরে ভাইরাসটি সংক্রমিত হবে বলে জানিয়েছে নেদারল্যান্ডের এক দল গবেষক।
বিবিসির প্রতিবেদনের তথ্য মতে, গবেষণায় দেখা গেছে নেদারল্যান্ডের ১৯৬টি পরিবার যেখানে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, তাদের পোষা ৩১০টি প্রাণীর করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাতে ৬টি বিড়াল এবং ৭টি কুকুর করোনা পজেটিভ হয়েছে। আর ৫৪টির শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।
এই ফলাফলের পর নেদারল্যান্ডের ইউট্রেচট ইউনিভার্সিটির ডা. এলস ব্রোয়েনস বলেছেন, ‘যদি আপনাদের মধ্যে কেউ কোভিড আক্রান্ত হয়ে থাকেন, আপনারা এখনই পোষা বিড়াল এবং কুকুর থেকেও দূরত্ব বজায় রেখে চলুন।
মূলত এই সর্তকতা শুধু প্রাণীদের জন্য নয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রাণী থেকেও অনেকে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
তবে গবেষণাটি এখনও প্রমাণিত না ঠিক কবে থেকে মালিকের সংস্পর্শে বিড়াল এবং কুকুরের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে।
এর আগেও ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল বেলজিয়ামে ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ মালিক থেকে একটি বিড়ালে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছিলেন।
বিড়ালটি তার মালিকের কাছেই থাকত। বিড়ালটির সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দেওয়ার এক সপ্তাহ আগে তার মালিকের করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায়।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ও আমেরিকান ভেটেরিনারি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শ দিয়েছে, যদি আপনি অসুস্থ বোধ করেন, তবে পশুপাখিদের পালতে দিন। যদি সম্ভব না হয়, তবে পোষা প্রাণীর কাছাকাছি আসার পরপরই হাত ধুয়ে ফেলুন।
এ ছাড়া পোষা প্রাণীর খাবার পাত্র, খেলনা ও বিছানা পরিষ্কার রাখুন। এ সময় সর্বক্ষণ মাস্ক পরে থাকুন। কোনো প্রাণী নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলে তাকে উপযুক্ত সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাতে হবে।