দলীয় কোন্দলের মধ্যেই আগামী ৩১ জানুয়ারি নেতা-কর্মীদের নিয়ে বর্ধিত সভা করবে জাতীয় পার্টি।
দলকে সুসংগঠিত করার প্রথম ধাপ হিসেবে দেখছেন নতুন কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তবে তার এই পদ না মেনে নেয়া সংসদীয় কমিটি সভায় না আসলেও কোন অসুবিধা হবে না বলে মন্তব্যও করেছেন তিনি।
জাপা চেয়ারম্যান এইচ এরশাদের বানানো নতুন মহাসচিব আর কো-চেয়ারম্যান নিয়ে দলের কোন্দল এখন প্রকাশ্যই।
সিনিয়র প্রেসিডিয়াম মেম্বার রওশন এরশাদ বিবৃতির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহবান জানালেও তা নাকচ করে দিয়েছেন এরশাদ।
তবে নতুন কমিটি এসব না ভেবে শুরু করেছে দল গোছানোর কাজ। ৩১ জানুয়ারি বর্ধিত সভা সফল করতে বনানী কার্যালয়ে হয়েছে প্রস্তুতি সভাও।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, রাজনীতির কোন কোন দিকটি তারা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন, কীভাবে তারা সামনে আসছেন। এগুলো আমরা তৃণমূল পর্যায়ে সেখানে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে চাই। এই পরিবর্তনগুলোসহ আমরা তাদের মতামত নিবো, পরিবর্তনে তারা খুশী কিনা, সুফল কি হতে পারে, কুফল কি হতে পারে ইত্যাদি।
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের নেতৃত্বে সংসদীয় কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছে মহাসচিব আর কো-চেয়ারম্যানকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ছিল এই বর্ধিত সভায় তারা আসবেন কিনা।
এ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা আশা করছি উনারা আসবেন, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। আর যদি নাও আসেন এর প্রেক্ষিতে পার্টির কোন ক্ষতি হবে না। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে না আসলে আমি মনে করি সেটা শৃঙ্খলা বিরোধী’।
নতুন কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের মনে এই সিদ্ধান্তে দলে পুনর্জাগরণ হয়েছে। এবার সত্যিকারের বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করাই তার মূল লক্ষ্য।