বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিঞা ভাই’ খ্যাত অভিনেতা ফারুক। ‘সারেং বউ’ ছবির এই প্রবীণ অভিনেতা অভিনয়ে নিয়মিত না থাকলেও চলচ্চিত্রকে ছেড়ে যাননি। বর্তমানে এফডিসি কেন্দ্রীক সংগঠন ‘চলচ্চিত্র পরিবার’-এর আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন। কাজ করছেন চলচ্চিত্রের উন্নয়নে। শোনা যাচ্ছিলো, সরাসরি চলচ্চিত্র নির্মাণেও পা রাখবেন তিনি। তবে আপাতত এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। চলচ্চিত্র নির্মাণের আগে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির নানা অসঙ্গতি মেরামতে ব্যস্ততা এখন তার। চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে এই নির্মাতা কথা বলেছেন চলচ্চিত্রের সাম্প্রতিক বিষয় আশয় নিয়ে:
যৌথ প্রযোজনা, নতুন নীতিমালা তৈরি নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামের এক বছর হতে চললো। বছর ঘুরে ফের আবার ঈদ সামনে। এরইমধ্যে আবার একই আন্দোলন কি ঘুরে ফিরে আসতে চলেছে?
যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা তৈরি করতে আমাদের আন্দোলন ছিলো যৌক্তিক। যৌথ প্রযোজনার নীতিমালায় যেসব নিয়ম কানুন ছিলো তাতে আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি আমাদের শিল্পী ও কলাকুশলীদের জন্য যথেষ্ট আপত্তির। আমরা চেয়েছিলাম আমাদের অবস্থান হোক ফিফটি ফিফটি।
শোনা যাচ্ছে, এবার নাকি আন্দোলন এড়াতেই আগে ভাগেই বাংলাদেশের কোনো উৎসবে ভিনদেশি কোনো চলচ্চিত্র মুক্তি দেয়া হবে না এরকম আইন জারি হয়েছে?
আমি ক্লিয়ারলি বিষয়টা জানি না। তবে যতোটুকু শুনেছি, এরকমটা হয়েছে। হয়তো আমাদের চলচ্চিত্র পরিবার থেকেই কেউ করেছে। তার নাম আমার জানা নেই। বোধহয় কোনো ভদ্রলোক বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে ভালোবেসেই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে, তাই এমন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে থাকতে পারে। যেহেতু সম্প্রতি আমাদের কোনো মিটিংয়ে এ নিয়ে কথা উঠেনি। একবারই এই বিষয়ে কথা উঠেছিলো, তখন শুধু আলোচনা হয়েছে। হয়তো সেই আলোচনার রেশেই কোনো ভদ্রলোক আদালতে কেস করেছেন। আমার জানামতে তার প্রশ্ন ছিলো, কেনো দেশীয় উৎসবে দেশীয় ছবি চালানো হবে না? কেনো দেশীয় উৎসবে ভিনদেশি ছবি চালানো হবে? আসলে সে ফিল্মকে ভালোবাসে। যিনিই এই কাজটি করেছেন, তাকে আমি সাধুবাদ জানাই। দেশের উৎসবে দেশের ছবি হলেই ভালো হয়। আমরাও এটা চাই।
কিন্তু দেশীয় উৎসবে আগে যেরকমটা রাখঢাক করে, আওয়াজ করে শীর্ষস্থানীয় অভিনেতাদের সিনেমা রিলিজ হতো এখনতো এরকমটা দেখা যায় না। আপনার কি মনে হয়, দেশীয় উৎসবে মানুষকে হলে নিয়ে আসার মতো সিনেমা আমাদের ইদানিং তৈরি হচ্ছে?
এই জিনিষটা কিন্তু আমি বলতে পারবো না। কারণ ইদানিং মেক্সিমাম ছবি নির্মাণ হচ্ছে এফডিসির বাইরে। ঘটনাগুলো এমন হয়, এফডিসির বাইরে যখন ছবি হয় তখনতো আমরা নিজ থেকে সেগুলোর কাছাকাছি যেতেও পারি না, জানতেও পারি না। এখনতো নতুন ছেলেপেলেরা ছবি বানায়। আমরাও তাদের দূর থেকেই ভালোবাসি। মনে করি, আচ্ছা সিনেমা বানানো হলো কথা! কিন্তু তারা কী বানাচ্ছে এটাতো আমাদের বলা সম্ভব না। ছবি রিলিজ হলে বোঝা যায় কোনটা বড় ছবি, কোনটা উৎসবে মুক্তি পাওয়ার মতো ছবি, কোনটা ভালো ছবি, কোনটা সুন্দর ছবি! কোনটা দেখে দর্শক আনন্দ পায় বা দর্শক ভিড় করবে কোন ছবি দেখে এগুলো মুক্তি না পাওয়ার আগ পর্যন্ত বলা মুশকিল।
এটাতো এফডিসির বাইরের নির্মাতাদের কথা বললেন। কিন্তু এফডিসি থেকেওতো আগে বিগ বিগ ছবি উৎসব কেন্দ্রীক তৈরি হতো। এগুলো কমে যাওয়ার কারণ কী?
এটার কারণ একটাই। আসলে এতো কথাতো বলার কারণ নাই। অনেকেই অনেক কথা বলেন। এটার উত্তরে তুমি আমার কথা লিখতে গেলে কিন্তু অনেক কথা লিখতে হবে। হঠাৎ করে কিছু লিখলে মানুষ বুঝবে না।
জ্বী। আপনি বলুন। আপনার কথা হুবুহুই যাবে…
অনেকে বলে থাকেন আমাদের গল্প নেই, আমাদের ভালো আর্টিস্ট নেই, ভালো স্ক্রিন প্লে রাইটার নেই। এই যে কথাগুলো এগুলো কতোটা যৌক্তিক! আমিতো মনে করি আমাদের ভালো স্ক্রিন প্লে রাইটার আছে। আমাদের ভালো গল্প আছে। আমরা ভালো সিনেমা বানাতে পারি। নতুন ও পুরনো পরিচালক যারা মিলিত হয়ে একসাথে কাজ করলে কোনো ব্যাপারই না বলে আমি মনে করি। আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রবলেম যেটা সেটা হচ্ছে মানুষ ধোঁকায় আছে। আমাদের কিছু নাই, এরকম ধোঁকায় পড়ে আছে কিছু মানুষ। ধোঁকা মিনস, ছবিটি নির্মাণ করতে গিয়ে যদি তোমার মনে হয় ছবিটা আমি চালাতে পারবো তো!
ছবি চালানো বলতে?
মানে, আগে যখন অ্যানালগ সিস্টেমে ছবি হতো। তখন কিন্তু ভাবতাম না, প্রজেক্টর মেশিনে কী হয়েছে! কিন্তু এখন মাথায় এটা ঘুরপাক খেতে থাকে, এই যে ছবিটি বানালাম, এটা প্রজেকশন করতে পারবো তো! এই জিনিষটা যদি সব সময় মাথায় থাকে, এবং সেই প্রজেক্টর মেশিন যদি একজনের হাতে থেকে যায় এবং সে যদি ব্যবসায়ী না হয়ে দুষ্টু প্রকৃতির লোক হয় তাহলেতো বড় ছবি আসবে নাতো। জানতেও পারবানা কোনটা বড় ছবি! ছবি নিয়ে প্রচুর ব্যাড গেইম হয়। এটা যার যার পার্সোনাল বিজনেস, কিছু বলার নাইও। কিন্তু এটা ব্যাড গেইম। এই গেইমে যদি কেউ কখনো মনে করে এদেশে ছবি বন্ধ হয়ে যাবে, তাহলে সে ভুল করবে। এদেশে ছবি জীবনেও বন্ধ হবে না। এই সরকার যতোদিন এই দেশে থাকবে, ততোদিন এই দেশে চলচ্চিত্রকে বন্ধ করা মুশকিল আছে। কারণ, এই সরকার দেশকে ভালোবাসে, দেশীয় জিনিষ চায়। আর যারা ভিনদেশি জিনিষ নিয়ে নাড়াচাড়া করেন, তারা দেশকে ভালোবাসেন না।
কলকাতার সাথে নির্মিত জয়েন্ট ভেঞ্চার ছবিগুলোকে কীভাবে দেখেন?
কলকাতার সাথেইতো আমাদের জয়েন্ট ভেঞ্চার বেশি সুবিধা। কারণ তাদের ভাষা ও আমাদের ভাষা এক। ব্যবসায়িক দিক দিয়ে বললেও উভয় দেশেরই কিন্তু লাভ। মুশকিল হলো জয়েন্ট ভেঞ্চারে কলকাতার সাথে প্রপার লোকগুলো নাই। যারা করছে তারা কলকাতার ফুললেন্থ ছবি ‘জয়েন্ট ভেঞ্চার’ নাম দিয়ে এদেশে মুক্তি দিচ্ছে অল্প টাকায়। এরকম যৌথ প্রযোজনায় আমার মনে হয় দুই পক্ষেরই ক্ষতি। আর এটাকেতো জয়েন্ট ভেঞ্চারও বলে না। জয়েন্ট ভেঞ্চার মানেতো ফিফটি ফিফটি। শিল্পী, কশাকুশলী থেকে শুরু করে সবকিছুতে সমানে সমান। এরকম হলে জয়েন্ট ভেঞ্চার দুই দেশের সিনেমার জন্যই অনেক ভালো হবে, ইন্ডাস্ট্রি উপকৃত হবে। কিন্তু সেটা না করে একটা শ্রেণি ‘জয়েন্ট ভেঞ্চার’-এর নামের প্রতিই বিতৃষ্ণা সৃষ্টি করে দিচ্ছে। চলচ্চিত্র তার নিয়ম অনুযায়ি চলবে, এর বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না।
তো আপনি নাকি দেশের প্রায় দুইশো হলে মেশিন বসাচ্ছেন? এরকম গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে? কতোটা সত্য?
২০০ মেশিন দেয়া কি চাট্টিখানি কথা। এটাতো সরকার দিলেও অনেক প্রসেস করতে হয়। আমি কোথা থেকে দিবো। আমি কি বানাবো দুইশো মেশিন। এখন কেউ যদি মেশিন নিয়ে আসে, তাহলে আমি বলতে পারি আসো, দেখি। কথা বলি। কিন্তু এরকম কাউকেতো দেখছি না। এরকম সঠিক লোকতো নাই। এটা আসলে মুখরোচক। অনেকেই কথার জোরে কথা বলে না! এরকম হয়েছে। আমি কোথা থেকে এতো মেশিন দিবো!
আপনিতো মাস কয়েক আগে সিনেমা নির্মাণের কথা বলেছিলেন। এগুলোর কী খবর?
হ্যাঁ, ছবি বানাবো এটা আমি সিরিয়াসলি বলেছিলাম। কিন্তু আমি দেখলাম, ছবি বানাতে গিয়ে যাদের সাথে আমি চলচ্চিত্র পরিবারের কনভেনার হয়ে কথা বলছি যে, এইভাবে না ওভাবে দিতে হবে, অধিকারের কথা বলছি। এখন তাদের সাথে যদি আমি ছবি বানাই তাহলে আমাকে কম্প্রোমাইজ করতে হবে। আর কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজের মধ্যে আমি নাই। আর আমার এতো শখ নেই, এতো টাকার মালিক আমি না যে ছবি বানিয়ে বিশ বছর বসে থাকবো বা মরে যাবো। এটা আমার হবে না। যখন একদম ফ্রিডম অনুযায়ি চলচ্চিত্র চলবে, এবং রিলিজের বিষয়টা একেবারে স্বচ্ছ্ব প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাবে, কোনো কালো হাতের ছায়া পড়বে না তখন আমি ছবি বানাবো।
ছবিগুলোরতো স্ক্রিপ্টও করে ফেলেছিলেন বলে আগে একবার আমাকে বলেছিলেন?
হ্যাঁ। ওগুলো ওভাবেই আছে। টাকা পয়সাও কিছু লাগিয়ে বসে আছি। অনেকেতো বলেও আমাকে, কেনো নামছি না ছবি করতে। কিন্তু সময় ঠিক হলে আমিই সবার আগে এসে ছবি বানানোর লাইনে দাঁড়াবো। শুধু আমি নাতো, অনেক প্রডিউসার বসে আছে ছবি বানাতে। শুধু মেশিনের জন্য পারেন না। অনেক হল আছে অজোপাড়াগায়, পড়ে আছে। মেশিনের অভাবে চলছে না। ছবি বানানোর আগে ওগুলো আগে ঠিক করতে হবে। গ্রাম গঞ্জের হলগুলো ঠিক হলেই দর্শকের কারণেই কেবল ইন্ডাস্ট্রি কিছুটা প্রাণ ফিরে পেতে পারে।
যৌথ প্রযোজনা বা সাফটা চুক্তির ভিত্তিতে যে ছবিগুলো আসছে, এগুলোতো নাকি দেশের ছবি থেকে বেশি চলছে?
আমদানি করা ছবি হোক বা দেশের ছবিই হোক কোনোটাই কিন্তু সেভাবে চলছে না। মুখে মুখে সুপার হিট হচ্ছে। আমিতো চাই সব ধরণের ছবি চলুক, ব্যবসা করুক। শুধু শুধু বলেতো লাভ নেই। ছবি চলছে না, হিট হচ্ছে না এরকম বলেতো আমারও কোনো বেনিফিট নাইরে ভাই। আমি চোখের সামনে দেখছি ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এটাকে ধ্বংস করতে দেয়া যাবে না। যতোটুকু সম্ভব, সবাই যদি কথা শুনে তাহলে ধ্বংসের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সবাই মিলে আমাকে কনভেনার করেছে আমিতো কারো কাছে যায়নি। এখন যদি সবাই কথায় কাজে ঠিক থাকে, তাহলেই হলো। আর ঠিক না থাকলে আমি কেনো আমার ফোর ফাদার আসলেও কিছু করতে পারবে না।
সম্প্রতি সাফটা চুক্তিতে একটি ছবি আমদানি হলো। যে ছবিটি নিয়ে দেশের দর্শকের পাশাপাশি হল মালিকরাও উচ্ছ্বসিত…?
তোমার বয়স কতো! একটু পেছনের দিকে তাকাও। দেখো, টানা দেড় বছর হাউজফুল চলছে একটি ছবি! কল্পনা করতে পারা যায়! আর এখন একটি ছবি শুক্রবারে হাউজফুল হলেই সেটা সুপার হিট হয়ে যায়! কীভাবে…? এখন হয়তো পয়সাটা একটু বেশি লাগছে সিনেমা দেখতে। আগেতো সাড়ে তিন টাকা ছিলো। এখন হয়তো আমার ভাইয়েরা একশোতে ৫০ টাকা পেছনে লুঙ্গীতে ভরে রেখে দেন। আর পঞ্চাশ টাকা ভাগাভাগি করেন চলচ্চিত্রটির সংশ্লিষ্টদের সাথে। তারাও কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রির লোক, তাদেরও ভাবতে হবে টাকাটা কীভাবে কার কার সাথে শেয়ার করা উচিত। কেনোনা এখানে ১০ শতাংশ থার্ড পার্টি বুকার, এখানে মেশিনওয়ালা প্রথম সপ্তাহে নেন ৮/১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় সপ্তাহে নেন ৬ হাজার টাকা। এভাবে স্টেপ বাই স্টেপ হিসেবে করলে দেখা যাবে ১৪ থেকে ২০ লক্ষ টাকা চলে যায় এসবেই। হিসেব করে শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে একটি পয়সাও প্রযোজক পান না। তাইলে ছবিগুলো কীভাবে সুপার হিট হয়! ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ‘আয়নাবাজি’তো এগুলোর উজ্জ্বল উদাহরণ। ছবির লাভটা আসলে থার্ড পার্টি বুকার তারাই খেয়ে ফেলে। প্রপার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন না থাকার ফল এগুলো। যে কারণে প্রদর্শক সমিতির লোকজন একটু দূরে দূরে থাকেন। আর দূরে দূরে থাকলে কেউ না কেউ একটা চান্সতো নিবেইরে ভাই।
সিনেমা সংশ্লিষ্ট প্রায় আলাদা আলাদা সব সেক্টরে এই যে অসততার চর্চা, এগুলো কি নিকট ভবিষ্যতে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা দেখেন। দেখলে সেটা কীভাবে?
এখন ইলেকট্রনিক ডিজিটাল সিস্টেমের যুগ। এটাকে রুখতে হবে ডিজিটাল সিস্টেম দিয়েই রুখতে হবে। শুধু শুধু বড় বড় কথা বলে লাভ নেই। একদম প্রপার ডিজিটাল সিস্টেমে রুখে দিতে হবে। এজন্য সরকারের কাছেও আমার বক্তব্য থাকবে, ফিল্মকে শিল্পের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। শিল্পের এই যে বেনিফিট, এটা যেনো সিনেমা হলের মালিকদের দেয়া হয়। এটা দিয়ে আমাদের কোনো লাভ হবে না। আমাদের দিলে কোনোদিন এর রিটার্ন পাবে না। সিনেমা হলে দিলে আমার মনে হয়, এটা প্রপার একটা জায়গায় দেয়া হলো। সরকার সেখান থেকে রিটার্নও নিতে পারবেন। এরফলে সিনেমা হল মালিক যেমন হাসবেন, স্টাফ হাসবেন, প্রডিউসার হাসবেন, দর্শকরাও আনন্দ নিয়ে সিনেমা হলে যাবেন।
শিল্পের বেনিফিট আসলে কী?
প্রত্যেকটি ইন্ডাস্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিয়াল বেনিফিট পায়। কিন্তু চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে ইন্ডিস্ট্রিয়াল বেনিফিট একটু টেকনিক্যাল। আমি যদি সেতার বাজাই, বাইরে থেকে যদি সেতার আনতে চাই তাহলে টেক্স ফ্রি। এরবেশিতো কিছু না। আর যদি আমি সিনেমা হল করতে চাই, তাহলে ল্যান্ড পেতে পারি, লোন পেতে পারি, মেশিন বসানোর জন্য, স্ক্রিনের জন্য, সাউন্ডের জন্য বেনিফিট পেতে পারি। এগুলো হচ্ছে সলিড।
গত বছরে কি এমন বেনিফিট পাওয়ার কথা শুনেছেন?
গত বছরে আমরা লিখিত নিয়ে বসেছিলাম তথ্যমন্ত্রীর সাথে। মন্ত্রী মহোদয় আমাদের কথাও দিয়েছিলেন যে ৬০টির মতো মেশিন আমাদের দিবেন। এটা শিগগির তিনি রেডি করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরে আর হয়নি। তবে প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশন থাকলে কিন্তু পরবর্তীতেও এটা নিয়ে আপডেট থাকতো। এখন আর্ট কালচারের জায়গায় পরিচালক সমিতি, চিত্রগাহক অ্যাসোসিয়েশন বা শিল্পী সমিতির দ্বারাতো এগুলো সম্ভব না। একসঙ্গে মিলিত হলেও না। এটা করতে পারবে একমাত্র প্রডিউসার, ডিস্ট্রিবিউটর থাকলে। তখন আসবে এক্সিবিউটর অ্যাসোসিয়েশন। এই তিনটি সংগঠন আসলে একটা ইন্ডাস্ট্রিকে তৈরি করবে। এই তিনটার মেইন হলো প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন।
ধন্যবাদ ফারুক ভাই…
চ্যানেল আই অনলাইনকেও অনেক ধন্যবাদ
ছবি: সংগৃহিত