২০০৯ সালে ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’-এর আসরে সোমনুর মনির কোনাল ছিলেন প্রতিযোগী। হাজারও প্রতিযোগী টপকে সে বছর তিনি শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জন করেছিলেন। এরপর শুধুই সাফল্য। অডিও, মিউজিক ভিডিও, প্লেব্যাকসহ গানের সব পথে কোনাল নিজেকে মেলে ধরেছেন, প্রমাণ করেছেন। সংগীতশিল্পী হিসেবে তার ক্যারিয়ারে যোগ হয়েছে নতুন পালক। কোনাল হয়েছেন ‘বিচারক’। সংগীত সংশ্লিষ্টদের মতে, এ এক অনন্য সম্মান।
বাংলাদেশকে সৃজনশীল ও উর্বর সংগীতের পরিবেশন উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে ‘শিশুদের মনন বিকাশে, গান এবং ফান’ এই স্লোগানে গানের উৎসব নির্ভর রিয়েলিটি শো “এসিআই এক্সট্রা ফান কেক ‘চ্যানেল আই-গানের রাজা’ পাওয়ার্ড বাই এসিআই পিওর স্পাইসেস” প্রতিযোগিতার মূল বিচারক হিসেবে আছেন কোনাল এবং তার সঙ্গে রয়েছেন আরেক জনপ্রিয় গায়ক ইমরান।
গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ‘গানের রাজা’ চ্যানেল আইয়ের পর্দায় প্রচার হচ্ছে প্রতি সোম এবং শুক্রবার রাত ৭.৫০ মিনিটে। ৬-১৩ বছরের বয়সের মধ্যে প্রতিযোগিতারা এখানে অংশ নিয়েছে। সারাদেশ থেকে ২০ হাজারের বেশী প্রতিযোগী বাছাইপর্বে অংশ নেয়। সেখান থেকে ৫৩ জনকে নির্বাচন করে শুরু হয়েছে তাদের নিয়ে ‘চ্যানেল আই গানের রাজা’র মেগা অডিশন। বর্তমানে সেরা ২০ বাছাই প্রক্রিয়া চলছে।
বিচারক কোনাল বলেন, ‘বাচ্চাদের মধ্যে থেকে যোগ্য শিল্পী খুঁজে বের করছি। ওদের সঙ্গী হচ্ছি বন্ধু হতে চেষ্টা করছি। কড়াকড়ি বা চুলচেরা বিশ্লেষণে যাচ্ছি না। কেউ কেউ নার্ভাস ফিল করলে, তাকে সাহস দিচ্ছি। ওদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছি।’
কোনাল মনে করেন, কোমলমতী শিশুদের অনেক স্বপ্ন। গানের রাজার মঞ্চে যারা এসেছে, তারা তাদের স্বপ্নগুলো এখানে নিয়ে এসেছে। সেগুলো খুব কাছ থেকে তিনি অনুভব করছেন।
‘গানের রাজা’ বিচারকার্য ছাড়াও কোনাল প্লেব্যাকে বেশী মনোযোগী। গেল বছর তার গাওয়া ‘যদি একদিন’, ‘ক্যাপ্টেন খান’, ‘জান্নাত’, ‘মেঘকন্যা’ ছবির চারটি গান সুপারহিট হয়। এছাড়া বাপ্পা মজুমদার ও কোনালের দ্বৈতকণ্ঠে গাওয়া ‘ঘুম জড়ানো’ শ্রোতারা পছন্দ করেছে। ‘ঘুম জড়ানো’ আর ‘যদি একদিন’ সিনেমার ‘আমি পারব না তোমার হতে’ গান দু’টির জন্য এ বছরের ”মেরিল-প্রথম আলো” তারকা জরিপে সেরা গায়িকার মনোনয়ন দৌড়ে আছেন কোনাল।
সুহাসিনী এই গায়িকার ভাষ্য, ‘সবাই যখন মিউজিক ভিডিওর দিকে ঝুঁকছেন, আমি তখন প্লেব্যাকে মনোযোগী। আমি বিশ্বাস করি, সিনেমার গানগুলো মানুষের মনে বেশী স্থায়িত্ব পায়। এ গানগুলোই আমাকে শিল্পী হিসেবে বাঁচিয়ে রাখবে।’