ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার দায় অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ। দলটির দাবি, আন্দোলনকারীদেরই দু’টি গ্রুপ শনিবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, শনিবারের সংঘর্ষ বা মারামারিতে ছাত্রলীগের কোনো ইউনিটের কোনো সদস্য জড়িত ছিল না। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দু’গ্রুপ নিজেদের মধ্যে মারামারি করে ছাত্রলীগকে দোষারোপ করছে।
‘ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীকে যদি দেখা গিয়ে থাকে তবে সে ব্যক্তিগতভাবে সেখানে গিয়ে থাকতে পারে। দলের পক্ষ থেকে কেউ সেখানে যায়নি,’ বলেন তিনি।
জাকির বলেন, ছাত্রলীগ সবসময়ই চেয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকুক।
এর আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত দাবি করেছেন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরাই অবস্থান নিয়েছে।
তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু ঘোষণা দিয়েছেন কোটা পদ্ধতি থাকবে না, তারপরও একটি দল কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।
‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আর তাদের ডাকে সাড়া দেয় না। কিন্তু তারা কয়েকজন মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিকে তারা রাজনীতি চর্চার জায়গা বানিয়েছে। এখানে পড়াশোনা বাদ দিয়ে এখন রাজনীতির চর্চা হয়,’ অভিযোগ করেন তিনি।
‘আমরা চাই শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকুক। তাই তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নিয়েছে।’
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত সংবাদ সম্মেলনের আগেই তাদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।
হামলায় ছাত্রলীগ কর্মীদের বেধড়ক মারধরে কমপক্ষে ৫/৬ জন আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠিতব্য সংবাদ সম্মেলনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের মেরে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ঢাবি ছাত্রলীগ ছাড়াও ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগ এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও হামলায় যোগ দেয়। প্রাণনাশের আতঙ্কে বর্তমানে আত্মগোপনে আছেন তারা।