সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আজ মহাষ্টমী। দেবীর সন্ধিপূজা এবং রামকৃষ্ণ মিশনগুলোতে কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা করে তাতে জগজ্জননীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন কুমারী কন্যাকে।
দুর্গাপূজার অন্যতম বৈশিষ্ট্য কুমারী পূজা। শাস্ত্র অনুসারে সাধারণত এক বছর থেকে ১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলণা কুমারীকে পূজার উল্লেখ রয়েছে। ব্রাহ্মণ অবিবাহিত কন্যা অথবা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কন্যাকেও পূজা করার বিধান রয়েছে। বয়স ভেদে কুমারীর নাম হয় ভিন্ন।
এ দিন নির্বাচিত কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। হাতে দেয়া হয় ফুল, কপালে সিঁদুর এবং পায়ে আলতা। ঠিক সময়ে সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে ষোড়শোপচারে পূজা করা হয়। ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে অষ্টমী পূজা শুরু হবে সকালে। এ ছাড়া অন্যান্য মন্দিরে মহাষ্টমীর পূজা বিহিত অনুষ্ঠিত হবে।
পূজার পর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস এই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় ‘কুমারী’ মা’-এর পূজা। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হবে পুষ্পমাল্য। পূজার শেষে প্রধান পূজারি দেবীর আরতি নিবেদন করে দেবীকে প্রণাম করবেন। পূজার মন্ত্র পাঠ করে ভক্তদের মধ্যে চরণামৃত বিতরণের মধ্য দিয়ে ৪০ মিনিট পর শেষ হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
১৯০১ সালে ভারতীয় দার্শনিক ও ধর্মপ্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ সর্বপ্রথম কলকাতার বেলুড় মঠে ৯ কুমারী পূজার মাধ্যমে এর পুনঃপ্রচলন করেন। তখন থেকে প্রতি বছর দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে এ পূজা চলে আসছে।
আগামীকাল ২২ অক্টোবর এ দিনে মহানবমী ও বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জন। এ দিন বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গন থেকে বিজয়ার শোভাযাত্রা বের করা হবে। এই শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারোৎসব।