দেশি তারকাদের সঙ্গে বিশ্বের নামি-দামি তারকা ক্রিকেটাররা খেলছেন বিপিএলে। ক্রিস গেইল, স্টিভেন স্মিথ, অ্যালেক্স হেলস, ডেভিড ওয়ার্নার, আন্দ্রে রাসেল, এভিন লুইস, কাইরেন পোলার্ড, সুনিল নারিন, শহিদ আফ্রিদির মতো টি-টুয়েন্টি স্পেশালিস্ট থাকার পরও মাঠে আসছে না দর্শক।
বিপিএলের প্রথম পর্ব থেকেই এত বিদেশি তারকার সম্মিলন আগে দেখা যায়নি। তবুও দর্শক আসছে না মাঠে। ম্যাচ যত গড়াচ্ছে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি ফাঁকা হচ্ছে ততই!
বুধবার মিরপুরে সিলেট সিক্সার্স ও চট্টগ্রাম ভাইকিংসের ম্যাচে হাজারখানেক দর্শকও দেখা যায়নি। ম্যাচটি কাভার করতে এসে গ্যালারির দিকে তাকিয়ে হতবাক ক্রীড়া সাংবাদিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়। বিস্ময় নিয়েই নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘মিরপুরে জাতীয় লিগ (এনসিএল) বা বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) খেলায়ও এর চেয়ে বেশি দর্শক দেখেছি কখনো কখনো। বিপিএল নিয়ে লোকেদের কী আসলেই আগ্রহ নাই?’
বিপিএলে কেনো দর্শকখরা? এ বিষয়ে আরেক সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক শামীম চৌধুরী চ্যানেল আই অনলাইনকে বললেন, ‘এবার কিন্তু বিধ্বংসী ব্যাটিং বা ইনিংস এখনও সেভাবে দেখা যায়নি। হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের ভালো দুটি ইনিংস ছিল, এর বাইরে তেমন কিছু নেই। উদ্বোধনী ম্যাচ ও দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে রান কম হওয়া দর্শক না আসার একটি কারণ। উইকেটে ব্যাটিং করাও কিছুটা কঠিন। দিনে রান হলে রাতে হচ্ছে না, রাতে হলে দিনে হচ্ছে না- প্রেক্ষাপট এমন। দর্শকরা রান দেখতে চায়। বড় ধরণের ব্লাস্ট ইনিংসের অপেক্ষা করছে হয়তো তারা, যেটি এখনও আসেনি।’
‘আরেকটি ব্যাপার হল, ছুটির আমেজ চলছে। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে যারা গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন তাদের অনেকেই এখনও ঢাকায় ফেরেননি। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ছুটি কাটিয়ে উঠছে কেবল, এটিও একটি কারণ। দুপুর সাড়ে ১২টায় খেলা, এক টিকেটে দুই ম্যাচ। খেলা দেখতে হবে রাত ৯টা পর্যন্ত। লম্বা সিডিউল, এটিও কারণ। তারকারা আসছে কিন্তু ব্লাস্ট ইনিংসের দেখা যাচ্ছে না। ক্রিস গেইলের ব্যাট থেকে সবাই রান দেখতে চায়। ডেভিড ওয়ার্নার আজ রান করেছে, এটা কিন্তু ভালো হল। স্টিভেন স্মিথ রান করলে বা বড় বড় তারকারা রান করলে তখন হয়তো এমন অবস্থা থাকবে না।’