চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’র শুটিং-এ মেতেছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ

ঈদ উপলক্ষে বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে যেসব অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় তার মধ্যে চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ অন্যতম জনপ্রিয়। সব শ্রেণির কাছে গ্রহণযোগ্য এই অনুষ্ঠানটির শুটিং হচ্ছে এবার সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলায়।

শাইখ সিরাজের পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় দেশের প্রান্তিক মানুষ ও কৃষকদের সুখ, দুঃখ, দিনযাপন নিয়েই প্রতিবছর দুই ঈদে ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়। সাফল্যের ধারাবাহিতায় এবারের ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার খুটিগাছা গ্রামে। রবিবার (৪ মার্চ) থেকে সেখানে চলছে শুটিং। জেলা সদর থেকে যে স্থানে অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হচ্ছে তার দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। স্থান খুটিগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ।

কৃষকের ঈদ আনন্দ-এ প্রতিযোগী কৃষক আর দর্শকের একাংশ

রবিবার সকাল আটটা থেকে দিনব্যাপী নানা খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে প্রতিবারের মতো স্থানীয় কৃষক, যুবক শিশু। তাড়াশের খুটিগাছা গ্রামে উৎসবের আমেজে ঠাসা।

স্থানীয় মুদি দোকানদার জহির উদ্দিন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, চার বছর আগে আমাদের এলাকায় একবার কৃষিমেলা হয়েছিল। তবে সেটা ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’র মতো উৎসবমমুখর ছিল না। জহির বলছেন, টেলিভিশনে নায়ক-নায়িকাদের অনুষ্ঠান বেশি দেখা যায়। তারকা মানেই ঈদ এমনটাই দেখা যায়। গ্রামীণ মানুষ বিশেষ করে কৃষকদের নিয়ে ঈদে আর দ্বিতীয় অনুষ্ঠান নেই। কৃষকদের সঠিক মূল্যায়ন করে এমন অনুষ্ঠান নির্মাণের জন্য শাইখ সিরাজের কাছে আমরা সবাই কৃতজ্ঞ।

চোখেমুখে তৃপ্তি নিয়ে দোকানদার দবির হালদার বলেন, কৃষকদের ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠান দেখতে আশাপাশের পাঁচ গ্রামের মানুষ এসেছে। দোকানের বিক্রি দুই তিনগুণ বেড়ে গেছে।

যেসব খেলার আয়োজন করা হয়েছে তারমধ্যে থাকছে কলা গাছে ওঠা, পানির ওপর চোখ বেঁধে বালিশ লড়াই, মামা-ভাগ্নে দৌড়, টোংগাবল খেলা, চাড়ি বাইচ (মাটির তৈরি), জামাই সাজানো, পাওয়ার টিলার রেস ইত্যাদি।

দিনের শুরুতে হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে মধ্যবয়সী কৃষকদের নিয়ে শুরু হয় পানির ওপর বালিশ লড়াই। এরপর ধারাবাহিকভাবে একে একে শেষ হয় কলা গাছে ওঠা, মামা-ভাগ্নে দৌড়, টোংগাবল খেলা, চাড়ি বাইচ (মাটির তৈরি), জামাই সাজানো পাওয়ার টিলার রেস।

আনন্দিত দর্শক, সফল কৃষকের ঈদ আনন্দ

প্রতিটি খেলায় কৃষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই আবার বাছাই পর্বে বাদ পড়ে আক্ষেপ করেন।তবে এমন আয়োজনের প্রত্যক্ষদর্শী হতে পেরে খুশি গোটা সিরাজগঞ্জবাসী।

চ্যানেল আইয়ে প্রতিবছরের মতো ঈদের পরদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রচারিত হবে জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠান। ঈদের আগের দিন রাত সাড়ে ১১টায় একই চ্যানেলে প্রচারিত হবে কৃষকের ঈদ আনন্দ’র বিহাইন্ড দ্য সিন্স বা পেছনের গল্প।