ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের কাছে ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য তুলে ধরেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে বৈঠকটি শুরু হয়ে পৌনে ১ ঘণ্টা চলে।
গনফোরামের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রতীক চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বৈঠকে সূচনা বক্তব্য রাখেন। এরপর ড. কামাল হোসেন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
লিখিত বক্তব্যে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা তুলে ধরেন তিনি। এ সময় কূটনীতিকদের প্রশ্নের জবাব দেন ড. কামাল হোসেন।
ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা আ স ম আব্দুর রব বলেন, আজকে আমরা বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সাথে মতবিনিময় করেছি৷ অত্যন্ত সফলভাবে এই মতবিনিময় সভা সমাপ্ত হয়েছে।
সিলেটে জনসভা বিষয়ে তিনি বলেন, ২৩ অক্টোবর সিলেটে আমাদের জনসভা ছিলো৷ তার অনুমতি দেয়নি সরকার। আমরা আশা করবো, অন্তত ২৪ তারিখ অনুমতি দেয়া হবে৷ আশা করছি সরকার গণতান্ত্রিক আচরণ করবে। সরকার যদি অনুমতি না দেয় তাহলে দেশে বিদেশে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে৷
বৈঠকে থাকা গণফোরাম এবং নাগরিক ঐক্যের দুই জন নেতা চ্যানেল আই অনলাইনকে বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে বলেন:
কূটনীতিকদের জিজ্ঞাসার মধ্যে ছিলো যেমন-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাবে কিনা? নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি মানা না হলে ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান কি হবে? খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি বাদে সরকার অন্য সকল দাবি মেনে নিলে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাবেন কি? এছাড়া, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে কে তাদের প্রধান হবেন/ কে প্রধানমন্ত্রী হবেন?
গণফোরাম নেতা বলেন, কূটনীতিকদের সব প্রশ্নের উত্তর দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।
বৈঠকে থাকা নেতারা জানান, একে একে আমাদের সকল দাবি নিয়ে কথা বলেন কূটনীতিকরা। দাবিগুলো কেন ঐক্যফ্রন্ট যৌক্তিক মনে করছে-তারও ব্যাখ্যা চেয়েছেন কুটনৈতিকরা। ১১ টি লক্ষ্যগুলো কোন ভিত্তিতে করা হয়েছে, কামাল হোসেনের কাছে জানতে চেয়েছেন তারা।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কুটনৈতিকদের প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন জানান, নির্বাচনে আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা দরকার। নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্যতম শর্ত সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ। আমরা সকল রাজবন্দিদের মুক্তি চাই।
কূটনীতিকদের জবাবে কামাল বলেন, সবকিছুর আগে নির্বাচনের পরিবেশ প্রয়োজন৷ এখানে পরিবেশ নেই।ঐক্যফ্রন্ট অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও জানান কামাল।আর ঐক্যফ্রন্ট জয়ী হলে জাতীয় সংসদ সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।মূলত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম দাবিই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তি।
২৫ টি দেশের প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও কথা বলেছেন ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস ও জাপানসহ আট দেশের প্রতিনিধি। তারাই সকল প্রশ্ন করেছেন ও জবাব চেয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সকল নেতা উপস্থিত থাকলেও কথা বলেন শুধু কামাল হোসেন। অন্যরা শুধু শুনেছেন।
কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর ঐক্যফ্রন্ট নেতারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। সেখানে অনেক কিছুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুক্রবার আবার বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
ঢাকায় অবস্থানরত সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কাতার, ভিয়েতনাম, কানাডা, তুরস্ক, চীন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, জাপান, ভারতের পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ফান্সসহ ২৫ টি দেশের কূটনৈতিক ও প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এ ছাড়াও গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির আসম আব্দুর রব, তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোনো কথা বলতে রাজি হননি৷
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এ ছাড়াও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির আসম আব্দুর রব, তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।