ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে (২০১৯) অনিয়মের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শাস্তি হিসেবে তাকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে অবনতি করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘তদন্তের প্রতিবেদনে অনিয়মের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে (শবনম জাহান) শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ওই হলের দু’জন হাউজ টিউটরকেও সর্তক করা হয়েছে।’
এর আগে দীর্ঘ ২৮ বছর অচল থাকার পর গত বছর ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের দিন সকালে কুয়েত মৈত্রী হলের একটি কক্ষ থেকে বস্তাভর্তি ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার উদ্ধার করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের বিক্ষোভে তাৎক্ষণিকভাবে শবনম জাহানকে ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিনকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েকঘন্টা পর আবার ওই হলে ভোটগ্রহণ হয়।
পরে ঘটনা তদন্তে কয়েক দফা কমিটি করা হয়। প্রথম প্রতিবেদন পাওয়ার পর সিন্ডিকেটের এক সভায় শবনম জাহানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত বছরের ২৮ মার্চ অধিকতর তদন্তের জন্য ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছিল।
এক বছরেরও বেশি সময়ের পর উক্ত কমিটির প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।