কুয়েতে চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে দেশে ফিরেছে সেনাবাহিনীর বিশেষায়িত মেডিক্যাল দল।
বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রেজাউল আলম খানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার এক’শ সদস্যের ( ৩০ জন ডাক্তার ও ৭০ জন মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট) একটি বিশেষায়িত মেডিক্যাল দল দেশে ফিরে।
হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিশেষায়িত মেডিক্যাল দলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সেনাসদর ওভারসিজ অপারেশন্স পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনিরুল ইসলাম আখন্দ।
এই বিশেষায়িত মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা দীর্ঘ ১০ মাস কুয়েতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়েত সরকারের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ জরুরি ভিত্তিতে এই বিশেষায়িত মেডিক্যাল টিম গত ১০ এপ্রিল এবং ১২ এপ্রিল দেশটিতে পাঠায়।
কুয়েতে অবস্থানকালীন এই মেডিক্যাল টিমটি সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় সাত হাজার জন কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগীর সরাসরি চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।
কুয়েতের আমীর, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীসহ দেশটির জনসাধারণ বিশেষায়িত এই মেডিক্যাল টিমের দৃষ্টান্তমূলক অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কুয়েতে থাকাকালীন বিশেষায়িত মেডিক্যাল টিমটি প্রধানত কুয়েতের সর্ববৃহৎ করোনা হাসপাতাল (কুয়েত ফিল্ড হাসপাতাল, মিশরেফ), অন্যান্য ফিল্ড হাসপাতাল (ফারওয়ানিয়া, মাহবুলা ও জিলিব আল সোয়াইথ হাসপাতাল) এবং সামরিক হাসপাতালের বিভিন্ন কোভিড আই সি ইউ, মেডিসিন ওয়ার্ড, ইমারজেন্সি ওয়ার্ড ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারসমুহে চিকিৎসা সেবা প্রদানে নিয়োজিত ছিল। এর পাশাপাশি বিশেষায়িত এই টিম কুয়েতে মোতায়েনরত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও চিকিৎসা সেবা প্রদান করে ।
দায়িত্ব পালনকালে টিমের ১৪ জন সদস্য করোনা রোগে আক্রান্ত হন ও পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে পুনরায় চিকিৎসা সেবায় যোগদান করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৯৯১ সাল হতে যুদ্ধবিধ্বস্ত কুয়েতের পুনর্গঠনের জন্য দুইটি বিশেষায়িত ইঞ্জিনিয়ার কন্টিনজেন্ট নিয়ে কুয়েতে যাত্রা শুরু করে।
বর্তমানে সর্বমোট ১১ টি কন্টিনজেন্টের পাঁচ হাজার ২৫৪ জন সদস্য কুয়েত পুনর্গঠনের কাজে সেখানে মোতায়েন রয়েছে।