কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মোঃ শিপন (২৮) নামের একজনকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ।
শনিবার রাত ১২টার দিকে পান্টি ইউনিয়নের পিতম্বরবরশি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত শিপন পিতম্বরবরশি গ্রামের আলতাফ শেখের ছেলে।
পান্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, শিপন স্থানীয় গোদের বাজারে ডেকোরেটরের ব্যবসা করেন। রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাওয়ার সময় সালিশ সংক্রান্ত কথা বলে শিপনকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা। তারপর গ্রামের রাস্তার ওপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।
চেয়ারম্যান বলেন, গতবারের ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের সময় থেকেই এলাকায় আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ লেগে আছে। শামীমুর রহমান সুমন নৌকা প্রতীকে এবং মাসুদ মোল্লা আনারস প্রতীকে ভোট করেন। দু’জনই ভোটে হেরে যান। সেই সময় থেকেই আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে বিরোধ। এরই জের ধরে সুমনের লোকজন মাসুদের সমর্থক শিপনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান শিপন হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পান্টি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে আসছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এরই জেরে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে।
তিনি বলেন, নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।