কুমিল্লার নানুয়াদীঘি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মো. ইকবাল হোসেনসহ চারজনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার বেলা ১টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইকবালসহ চারজনকে আদালতে আনা হয়। আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ জানান, ধর্মীয় অবমাননার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ লাইনসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল নানুয়াদীঘি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারের পর থেকেই ইকবাল অসংলগ্ন আচরণ করছে। ইকবাল কোরআন রাখার এবং গদা সরানোর কথা স্বীকার করলেও কেন বা কার নির্দেশে এই কাজ করেছে, সেই ব্যাপারে কিছু জানায়নি।
অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কুমিল্লায় হামলার শিকার মন্দির পরিদর্শন করেছেন। অপর দিকে বিশ্ব শান্তি পরিষদের বাংলাদেশে চাপ্টারে নেতৃবৃন্দ সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টুর নেতৃত্বে একটি দল কুমিল্লা টাউন হলে সমাবেশ করে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ বলছে, কারা এ ঘটনার পিছনে আছে, বা কার মদদে এ ঘটনা ঘটানো হয়ে আসামীদের রিমান্ডে নেওয়ার পর তা জানা যাবে।