চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

কিছুটা হলেও পথ ফিরে পেয়েছে নির্বাচন কমিশন

বলতে গেলে একেবারে শেষ মুহূর্তে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অর্ন্তভুক্ত দলগুলোর প্রধান দাবিই ছিল নির্বাচনের তারিখ পেছানো। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা তাদের সেই দাবি কিছুটা হলেও পূরণ করেছেন। ভোটগ্রহণের দিন সাতদিন পিছিয়ে দিয়েছেন।

যদিও তফসিল ঘোষণার আগের দিন চিঠি দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তফসিল ঘোষণা না করে নির্বাচন কিছুদিন পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সেদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার তফসিল নিয়ে তার আগের ঘোষণাতেই অটল ছিলেন। তফসিল ঘোষণার পর ঐক্যফ্রন্ট অভিযোগ করে, ক্ষমতাসীনদের ইশারায় তড়িঘড়ি করে এই তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

তবে পুনঃতফসিলের ঘোষণা দিয়ে সিইসি জানিয়েছেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোট জাতীয় নির্বাচনের ভোটের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এ জন্য ভোট গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩০ ডিসেম্বর করা হয়েছে।

এর আগে তিনি যে তফসিল ঘোষণা করেছিলেন, সেখানে আগামী ২৩ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছিল। মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ছিল ১৯ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২২ নভেম্বর। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ২৯ নভেম্বর।

আশার কথা হলো, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নতুন তারিখকে সবদলই স্বাগত জানিয়েছে। কেউ কেউ সিইসিকে ধন্যবাদও দিয়েছেন। এ থেকে বোঝা যায়, নির্বাচন কমিশনের প্রতি তাদের আস্থা ফিরছে। কারণ গতকালই সব শঙ্কা দূরে ঠেলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আর আজকে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ আরো সুগম করলো।

আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের এ ঘোষণাটি সব দলের জন্য জরুরি ছিল। নির্বাচন পিছিয়ে কমিশন মূলত জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। আমরা আশা করবো সামনের দিনগুলোতে নির্বাচন কমিশনকে যাতে বিতর্কিত হতে না হয়, সেই বিবেচনায় পদক্ষেপ নেবে।

এটা ঠিক, সব দলের সব দাবি হয়ত বাস্তবতার কারণে পূরণ করা যাবে না। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে যেন সব রাজনৈতিক দলের আস্থা থাকে, সেটা বিবেচনায় রাখতে হবে।