ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সোমবার কিউবায় পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রো এবং তার বড় ভাই ও পূর্বসূরি ফিদেল ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
গত আগস্ট মাসে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাবেদ জাফরির কিউবা সফরের পর তিনি এ সফরে গেলেন।
রুহানি এ সফরের একদিন আগে জানিয়েছিলেন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ‘বন্ধুপ্রতিম ও বিপ্লবের দেশ’ কিউবায় তিনি যাত্রা বিরতি করতে চান।
সফরের ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাফরি বলেন, কমিউনিস্ট এ দ্বীপ রাষ্ট্রের সাথে ইরানের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তারা এটিকে ‘একটি বড় সুযোগ’ হিসেবে দেখছে।
উভয় দেশের মধ্যে জ্বালানীসহ অনেক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভেনিজুয়েলার অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কম দামে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় কিউবা ইরানের তেল সরবরাহের মুখাপেক্ষী হয়ে রয়েছে।
ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু দেশ ইরান ও কিউবা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরস্পরকে সমর্থন করে থাকে। কিউবার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কঠোর ভাষায় নিন্দা জানায় তেহরান।
হাভানাও ইরানের বেসামরিক উদ্দেশে পারমাণবিক কর্মসূচি চালানোর অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।