মধ্যাহ্নভোজ থেকে ফিরে নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। উইকেটে থিতু হতে দেয়নি টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়েকে। দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও ইবাদত হোসেন এনেছেন সাফল্য। ২ উইকেটে ৬৮ রান তুলে চা বিরতিতে গেছে কিউইরা।
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে প্রথম ইনিংসে কিউইদের ৩২৮ রানের জবাবে ১৩০ রানের লিড নিয়ে থেমেছে মুমিনুল হকের দল।
সফরকারীদের চেয়ে এখনো ৬২ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। তাসকিন আহমেদ তুলেছেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথামের উইকেট। ২৯ রানে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ১৪ রান তুলে বোল্ড হন ল্যাথাম।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান কনওয়েকে ১৩ রানের বেশি করতে দেননি ইবাদত। উইকেটে রাখা বল কনওয়ের ব্যাট-প্যাড ছুঁয়ে গালিতে গেলে জোড়াল আবেদন করে বাংলাদেশ। আম্পায়ার সাড়া দেননি। রিভিউ নেন মুমিনুল। বল প্যাডে লাগার আগে ব্যাটে স্পর্শ করেছিল। বাকি কাজটুকু সারেন সাদমান। সামনে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ তালুবন্দি করেছিলেন। আউটই হন কনওয়ে।
পরের ওভারে ৩১ রানে ফিরতে পারতেন ইয়াংও। মিরাজের বল তার ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটের পেছনে যায়, গ্লাভসে জমাতে পারেননি উইকেটরক্ষক লিটন।
মঙ্গলবার খানিক আতঙ্ক নিয়ে শুরু হয় সকাল। মিরাজের জোড়া রিভিউতে বিপদ কাটে। দিনের তৃতীয় ওভারে রাচিন রাভিন্দ্রের করা তৃতীয় বলে সুইপ খেলতে গিয়েছিলেন মিরাজ। বল প্যাডে আঘাত হানে। লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন টাইগার ব্যাটার। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল প্যাডে লাগার আগে তার গ্লাভসে চুমু দিয়ে গেছে।
পরের ওভারে ওয়াগনারের করা তৃতীয় বলেও মিরাজের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদন ওঠে। আম্পায়ার যথারীতি আঙুল তুলে নেন। আবারো রিভিউ নেন টাইগার ব্যাটার। এদফা বল তার ব্যাটে লেগেছিল।
মিরাজ-রাব্বির ৭৫ রানের জুটি দলকে অনেকটা চালকের আসনে বসিয়েছে। দারুণ খেলতে থাকা মিরাজ ফিফটির কাছে চলে যান। সাউদির অফস্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে থামতে হয়। ৮৮ বলে ৮ চারে ৪৭ রান করে ব্লান্ডেলের গ্লাভসে জমা পড়েন।
রাব্বিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। জেমিসনের লেগ স্টাম্পের উপরে করা বলে ফ্লিক করতে গেলে ব্যাটের ছোঁয়া পায়। বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্লান্ডেল ক্যাচ নেন। ৮৫ বলে এক চারে ২৬ রানের ইনিংস থামে।
পরে ৫ রান করা তাসকিনকে বোল্ড করেন সাউদি। শেষ ব্যাটার হিসেবে শরিফুল ইসলাম বোল্ড হওয়ার আগে রানের খাতা খুলতে পারেননি, তার স্টাম্প এলোমেলো করে দেন বোল্ট।
৮৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। নিল ওয়াগনার নেন ৩ উইকেট। টিম সাউদি ২টি ও কাইল জেমিসন একটি উইকেট পান।